আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট─হাজারো বছরের পুরনো, এ চরিত্র আজও নতুন, কৌতুহলোদ্দীপক। এ চরিত্র নিয়ে লাখ লাখ বই লিখেছেন গবেষক ও ইতিহাসবেত্তারা, বিক্রি হয়েছে কোটি কোটি কপি। তারপরও আলেকজান্ডারের প্রতি মানুষের আগ্রহ কমেনি। ইতিহাসের অতল তলে তিনি হারিয়ে যাননি। বরং আজও তিনি, তাঁর কাজ স্বমহিমায় ভাস্বর। ক্ষমতার অবিনশ্বর এক প্রতীক তিনি। সামরিক দক্ষতা, মেধা এবং জয়ের তালিকায় ইতিহাসের যে কোনো চরিত্রের চেয়ে তিনি এগিয়ে। তাঁকে নিয়ে বিতর্ক আছে, তাঁর চরিত্রে-মেধায়-দক্ষতায়-সাফল্যে- ব্যর্থতায় রং চড়ানো হয়েছে—এমন অভিযোগও নতুন কিছু নয়। তবে সব বিবাদ-বিতর্কের পরও ব্যক্তি আলেকজান্ডারের কীর্তি আজও সামান্যতম ম্লান হয়নি। মৃত্যুর দুই সহস্রাধিক বছর পার করার পরও তিনি আলোচিত চরিত্র। তাঁকে নিয়ে আমরা যেমন লিখছি তেমনি লিখবে অনাগত কালের অসংখ্য গবেষক, ইতিহাসবিদ। তাঁকে নিয়ে পাঠকের আগ্রহেও ঘাটতি হবে না। অনেক বাড়িতেই পেছনে একটা উঠান থাকে—অযত্নের ছাপ যেখানে স্পষ্ট, আবর্জনার স্তূপ, আর পুরনো-ময়লা জিনিস রাখার আদর্শ স্থান। গ্রিকদের সাম্রাজ্যে এমন অবহেলা আর অনাদরের স্থান ছিল মেসেডোনিয়া। গ্রিক ভাষায় কথা বলত এখানকার অধিবাসীরা। ভালো কাঠ উৎপাদন আর ভেড়া পালনের ক্ষেত্রে তাদের বিশেষ সুনাম ছিল। এখানেই সর্বকালের সেরা বীর আলেকজান্ডারের জন্ম। তবে আলেকজান্ডার প্রসঙ্গে আলোচনায় তাঁর বাবা রাজা দ্বিতীয় ফিলিপের কথা না বললেই নয়।