ভূতবাড়ি চিনেন? নাম শুনেছেন? সব্যসাচীদের পুরো পরিবারের সাথে এর সম্পর্ক জড়িয়ে আছে। শুরুটা হয়েছিল ১৯৭১ সালে। দেশ স্বাধীন হবার পর সপরিবারে সব্যর দাদা দেশে আসেন। চট্টগ্রামে কাপ্তাইয়ের কাছাকাছি পুরোনো একটা বিশাল বাড়ি পানির দামে কিনে ফেললেন। বাড়িটার নাম রাখা হল ভূতবাড়ি। বাড়িটা যে সত্যিই ভূতুড়ে সেটা কদিন পর টের পাওয়া গেল। বাড়ির সদস্যদের একে একে মৃত্যু হল অপঘাতে। জীবিত সদস্যরা আবার বিদেশে চলে গেল। কিন্তু ভূতবাড়ি তাদেরেকেও নিজের কাছে টেনে নিল। রবির ছেলে সব্যসাচী, আর মৌনতার দুই যমজ মেয়ে নোরা-ডোরা। এদের মধ্যে ডোরা নিয়মিত স্বপ্নে ভূতবাড়িতে আসতে থাকে। এখানে তাদের ভয়ংকর আর বিচিত্র সব অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। সব্যসাচী ছেলেবেলা থেকে অন্যরকম। আশেপাশে মৃত ব্যক্তিদের সে দেখতে পেত সবসময়। মাঝে মাঝে জীবিত আর মৃতদের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না সব্যসাচী। ঘটনাক্রমে তার সংগে রাশিয়ান সুন্দরী নাতাশার সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয়। মা তন্দ্রার আপত্তি থাকার পর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রজেক্টের কাজ নিয়ে সব্য বাংলাদেশে আসে। প্রমিকা ও বান্ধবী নাতাশাকে নিয়ে চলে যায় পৈতৃক ভিটা ভূতবাড়িতে। কিন্তু ভূতবাড়ি সব্যকে নাতাশার আসল পরিচয় দেয়। কে এই নাতাশা? কি ঘটেছিল সব্যর ভাগ্যে?
সমসাময়িক লেখক রুজহানা সিফাত পেশায় একজন শিক্ষিকা। তার লেখা উপন্যাসগুলো হলো- কালো দুর্গ ভূতবাড়ির উত্তরাধিকারী দীপ নেভা দ্বীপ নরক নগরী লাভলী বোর্ডিং বারুদের দিনরাত্রি তার লেখা লেখা প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস। বান্ধাজিন তার লেখা প্রথম ভূত সংকলন