আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পরিচয়ে পরিচিত। আমরা গণমানুষের জননেত্রী শেখ হাসিনার আলােয় আলােকিত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও উন্নয়নে আওয়ামী লীগের অবদান, ত্যাগের কথা তুলে ধরে রাজনীতির গবেষকগণ বলে থাকেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই বঙ্গবন্ধু এ দেশ স্বাধীন করেছেন, নিয়েছেন নানান পদক্ষেপ। আর তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়নের উচ্চ শিখরে নিয়ে যাচ্ছেন। ‘রাজনীতির কবি' বঙ্গবন্ধুর আজীবনের সাধনা ও সংগ্রাম ছিল পরাধীনতা ও সাম্প্রদায়িকতা থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করে একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। ১৯৪৮ সালে বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই ভাষা আন্দোলন শুরু হয়। বঙ্গবন্ধু সারা জীবন এ দেশ ও দেশের মানুষের জন্য লড়াই-সংগ্রাম করেছেন, প্রায় চৌদ্দ বছর জেল খেটেছেন বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের জন্য। তিনি যখন ছয় দফা দেন তখন বাংলাদেশে অনেক নেতা ছিলেন যারা ছয় দফাকে সমর্থন করেননি। অথচ এই ছয় দফা বাংলার মানুষের মুক্তির সনদ হিসেবে চিহ্নিত হয় জয় পান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তারই কন্যা শেখ হাসিনার অবদানকে অস্বীকার করার কোনাে সুযােগই নেই। পিতা বাঙালির জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে গেছেন কন্যা পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে বাংলাদেশকে এমন এক উচ্চতায় তুলে এনেছেন যেখান থেকে নিচে তাকালে বড় বড় অর্থনীতির শক্তিকে দেখা যাবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঙালির গর্ব। শেখ হাসিনা বাঙালির উৎসাহ, উদ্দীপনা ও সাহসের প্রতীক। তাঁর মানবতাবাদী খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বময়।
পাবনার যমুনাপাড়ের নগরবাড়ী ঘাটের যমুনা পুত্র আবদুল্লাহ আল মােহনের জন্ম ১৯৭৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি। প্রাতিষ্ঠানিক নাম আবদুল্লাহ আল মামুন। বর্তমানে ঢাকার ভাসানটেক সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান। বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তাঁর। নিত্যসহযােগী, স্বপ্নসহচরী স্ত্রী রাশনা রশীদও| ঢাকার একটি সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক। শিক্ষকতার মহান পেশার সাথে জীবনাদর্শে মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে। তার মােহন নেশাটিও শিল্পঘােরে নিরন্তর পরিভ্রমণ, জীবনানন্দে জীবনযাপন। সৃজনীজীবনের সুপ্ত স্বপ্নকে বিকশিত করতে প্রিয় শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি আমাদের শিক্ষাঙ্গণে। আলােচিত সৃজনশীল সহশিক্ষার আনন্দময় আয়ােজন ‘মঙ্গল আসর পরিচালনা করে আসছেন। অনুকরণীয় শিক্ষকের নানাবিধ কর্মকাণ্ড নিয়ে সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের সহযােগিতায় তৈরি হয়েছে তথ্যচিত্র ‘মােহনের মঙ্গল আসর। লেখাপড়া করেছেন ধােবাখােলা করােনেশন উচ্চ বিদ্যালয় (নাটিয়াবাড়ী, বেড়া, পাবনা), ঢাকার সরকারি তিতুমীর কলেজ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগে। বিপরীতমুখী পেশাজীবনের বহুমাত্রিক অভিজ্ঞতায়। সমৃদ্ধ তার জীবন। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ। আবু সায়ীদের একান্ত সহকারী হিসেবে যেমন দায়িত্ব পালন করেছেন, তেমনি আবার বিশ্ববরেণ্য জাদুশিল্পী জুয়েল আইচের জাদুদলের একজন সদস্য হিসেবে। আলােক প্রক্ষেপণেও সহযােগিতা করেছেন মঞ্চে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে কাজ। করেছেন তকালীন বহুল প্রচারিত ও জনপ্রিয় পত্রিকা দৈনিক ভােরের কাগজে।। এরপর ইমপ্রেস টেলিফিল্ম, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রশিকার প্রশিক্ষণ বিভাগ। এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সােনালী ব্যাংকেও কাজ করেছেন। তার লেখালেখির আগ্রহের অন্যতম বিষয়-আলােকিত ব্যক্তিত্বদের অনুপ্রেরণামূলক জীবনী ও ভ্রমণকাহিনি। জনপ্রিয় সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যম ফেসবুকে নিয়মিত সরব কিন্তু। সেখানেও প্রবলভাবে অনুরাগী তিনি জীবনী, ছড়া-কবিতা, প্রবন্ধে-আলােচনায়, সর্বোপরি মননশীল চিন্তাচর্চায়। গভীরভাবে ভালােবাসেন বইয়ের পাশাপাশি মানুষ নামক জীবন্ত বিশ্বকোষ, মহাগ্রন্থ নিরন্তর পাঠ করতে।। প্রকাশিত উল্লেখযােগ্য গ্রন্থ : বঙ্গবন্ধু ও বাঙালি জাতীয়তাবাদ’, ‘খােকা থেকে মুজিব : বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা', সম্পর্কের সেতুবন্ধনে : বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা’, ‘হাসু থেকে শেখ হাসিনা : দেশনেত্রী থেকে বিশ্বনেত্রী’, ‘দৃষ্টি ও অন্তদৃষ্টির ভারত ভ্রমণ’ (দিল্লি, আজমির, জয়পুর ও আগ্রাভ্রমণ কাহিনি), ‘খুঁজে। ফেরা : বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের হৃদয় হতে’, ‘মানবাধিকার চর্চা’, বঙ্গবন্ধুর লেখক সত্তা’ ।