ঐতিহাসিক বদরের যুদ্ধ। আল কুরআনুল কারীমে যাকে আখ্যা দেওয়া হয়েছে ইয়াওমুল ফুরকান (সত্য-মিথ্যার মাঝে সুস্পষ্ট ব্যবধান দিবস) হিসাবে। বদরের যুদ্ধ পর্যালােচনা করলে সুস্পষ্টভাবে প্রতিভাত হয়ে উঠে এই বাস্তব সত্য। এটা ইসলামের একটি প্রকাশ্য মুজিযা। না হয় এতে মুষ্টিমেয় সাহাবায়ে কিরামের বিজয়ের কোন কারণই ছিল না। কারণ, একদিকে সেখানে প্রায় সহস্র সশস্ত্র দুর্ধর্ষ যুদ্ধবাজের বিশাল বাহিনী, অপরদিকে মাত্র ৩১৩জন নিরস্ত্র দূর্বল সাহাবী। একদিকে বিরাট সম্পদশালী আমীর-ওমরা যারা একাই গােটা বাহিনীর ব্যয়ভার বহনে সক্ষম, অপরদিকে কপর্দকহীন দরিদ্র মুষ্টিমেয় অসহায় কিছু আল্লাহর বান্দা। একদিকে বিশাল অশ্বারােহী বাহিনী, অপরদিকে মুসলমানদের মাত্র দু'টি অশ্ব। একদিকে সমকালীন সর্বপ্রকার সমরাস্ত্র, অপরদিকে মাত্র কয়েকটি পুরনাে তলােয়ার ন্যে, বিশ্ব ঐতিহাসিকরা এজন্য বিস্ময়ে হতবাক, এহেন পরিস্থিতিতে কিভাবে মুসলমানদের এই অভাবনীয় বিজয় সম্ভব হলাে! এর একমাত্র কারণ, মুসলমানদের সুদৃঢ় ঈমান ও মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ তা'আলার গায়েবী সাহায্য। ৩১৩ জন আল্লাহ-প্রেমিকের এই ঈমানদীপ্ত কাহিনী নিয়েই রচিত বক্ষমান উপন্যাসটি। খ্যাতনামা ভারতীয় ঔপন্যাসিক মাওলানা সাদেক হােসাইন সিদ্দীকী এই উপন্যাসের রচয়িতা। তিনি নাম দিয়েছেন ‘জঙ্গে বদর, আমরা দিয়েছি বদর প্রান্তর।