উত্তম চরিত্রকে ইসলামি শিক্ষার অন্যতম একটি কোর্স হিসেবে পরিগণিত করা হয়। পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহতে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ তথা সমগ্র মানব সমাজের চারিত্রিক উন্নয়নে প্রচুর নির্দেশনা বিদ্যমান। মূলত মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে মৌলিক পার্থক্য এ চরিত্রের আলোকেই হয়ে থাকে। আখলাকের মাধ্যমেই মানুষ মনুষ্যত্বের চূড়ান্ত মানে উন্নীত হতে পারে। ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন-বিধান। এ বিধানের পরিপূর্ণতার জন্য তাতে উন্নত চরিত্রের বিধান থাকা আবশ্যক। তাই ইসলামে আখলাকে হাসানাহ তথা উত্তম চরিত্রের স্থান অনেক অনেক উর্ধ্বে। আমাদের প্রিয় নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে প্রেরণের অন্যতম কারণ সচ্চরিত্রের বিকাশ সাধন। নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আমাকে সচ্চরিত্রের পূর্ণতা সাধনের নিমিত্তেই প্রেরণ করা হয়েছে।’ অন্য এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে একদা জনৈক ব্যক্তি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দীনের সংজ্ঞা জিজ্ঞেস করলে উত্তরে তিনি বলেন, ‘উত্তম চরিত্র’। এ কথা দ্বারা বুঝা যায় সচ্চরিত্রতা বা উত্তম চরিত্র দীনের অন্যতম একটি রুকন, যা ব্যতীত দীনের অস্তিত্বই কল্পনা করা যায় না। উত্তম চরিত্র জান্নাত লাভের মাধ্যম এবং জাহান্নাম হতে মুক্তির উপায়। তাই তো বলা হয়, ‘উত্তম চরিত্র :সুবাসিত করে জীবন...