শির্ক হলো আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার সাথে অংশীদার স্থাপন করা। আল্লাহর সত্তা ও গুণাবলি সম্পর্কে যেসব বিশ্বাসের কথা বলা হয়েছে--সৃষ্ট কোনো বস্তুর ব্যাপারে সেরূপ বিশ্বাস পোষণ করাই হলো শির্ক। ইসলামে শির্ক অর্থ কাউকে আল্লাহর পিতা, পুত্র, কন্যা বা জ্ঞাতি মানা। অথবা তাঁর জগৎ সৃষ্টিতে, নিয়ন্ত্রণে, পরিচালনায়, প্রতিপালনে, রক্ষায়, ক্ষমতায়, রুজিদানে, মুক্তিদানে ও অন্যান্য দানে কাউকে শরীক করা। অথবা সহায়ক বা সাহায্যকারী, সমকক্ষ বা সমতুল্য মানা। আল্লাহর কর্মকে অস্বীকার করার অর্থ হলো তাঁর অস্তিত্বকে অস্বীকার করা। নাস্তিক্য, প্রকৃতিবাদ, জড়বাদ, অদ্বৈতবাদ, সর্বেশ্বরবাদ ইত্যাদি বড় ধরনের শির্ক। আবার আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার হাত, পা, চক্ষু, ইত্যাদি আমাদের কারো মতো মনে করাত্ত শির্ক। আলোচ্য ‘শির্ক’ গ্রন্থে শির্কের অর্থ, কুরআন ও হাদিসে শির্কের বিবরণ, সমাজে প্রচলিত কতিপয় শির্ক, শির্কের ক্ষতি, শির্ক থেকে বাঁচার উপায়, বিশুদ্ধ ঈমানের জন্য অতি জরুরি জ্ঞান, ইসলামে সবার সমতা ও ঐক্য জরুরি, সত্যিকার অলী-আওলিয়ার পরিচয়, মুসলিম উম্মাহর সীমালঙ্ঘন, শাফাআত ও হেদায়াতের মালিক, ইত্যাদি বিষয়াদী সবিস্তারে আলোচনা করা হয়েছে। আল-কুরআন, হাদীস, বিজ্ঞান, ইসলামী ইলম এবং দর্শনের সূ² নিরিখে বিচার করে এ গ্রন্থ রচিত হয়েছে। শ্রদ্বেয় প্রকাশকের ঐকান্তিক প্রেরণা, সাহায্য এবং উৎসাহ অনস্বীকার্য। আশা করা যায়, গ্রন্থটি পাঠক সমাজকে অভিভ‚ত এবং জ্ঞানবান করবে। লেখনীর ব্যাপারে পাঠকের যে কোনো মতামত ও উপদেশ শিরোধার্য। গ্রন্থের ব্যাপারে যে কেউ ভুল শুধরে দিয়ে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করবেন বলে আশা রাখি। চলুন পৃথিবী ও আখিরাতের জীবনকে শ্রষ্টার নির্দেশ এবং বিশ্বনবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রদর্শিত পথে পরিচালিত করে সত্যিকারের সফলতা অর্জনের চেষ্টা করি। পাঠক এবং লেখক উভয়কে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তাঁকে চেনা, দ্বীনকে বুঝা এবং কুফর, শির্ক ও বিদ’আতমুক্ত আমল করা তথা হিদায়াত নসিব করুন। পৃথিবী এবং আখিরাতের জীবনে সফলতা দান করুন। ক্ষমা করুন। আমীন। ড. আবু মুহাম্মদ