অবেলার নোনাজলে এই গল্প মধ্যবিত্ত এক পরিবারের, এই গল্প মধ্যবিত্ত পরিবারের এক সন্তানের। এই গল্প মানবিক সীমাবদ্ধতার। এই গল্প একজন পিতার, এই গল্প একজন মাতার, এই গল্প মধ্যবিত্ত পরিবারের একজন যুবকের খুনসুটি, প্রেম-বিরহের। অর্পিত তরঙ্গে ছোট্ট এ জীবন।নতুন আঙ্গিকে-বাস্তবতা মিশ্রিত শব্দগুলোও সজ্জিত হয় জীবনেরই পথে।মানুষের মনোজগৎ পরিবর্তনের এক অপূর্ব আখ্যান লুকায়িত রয়েছে এই বইটিতে। মানুষের স্বপ্নপূরণের প্রতীক্ষার প্রহর ও জীবনযাপনের গতিপ্রকৃতিতে ভিন্নতা রয়েছে।স্বপ্নপূরণের প্রতীক্ষার প্রহর ও জীবনযাপনের গতিপ্রকৃতিতে সফলতা আসে সীমাহীন উৎসাহ ,বুদ্ধি ও একটানা কাজ করার গুন থেকে।এগুলোতে গতির উপস্থিতি রয়েছে।গতিতে অনিশ্চয়তা চলে আসে।আবার গতিতে সক্রিয়তা চলে আসে অনিশ্চয়তা দূরীকরণে। এমনই মৌলিক গল্পের প্রাণে উজ্জবিত পাঠকপ্রিয় একটি বই অর্পিত তরঙ্গে। নিভৃতে গৌরব কবিতা নিয়ে আমার বরাবরই আগ্রহ কম । কবিতা ধূসর ক্যানভাসে এঁকে ফেলা একগুচ্ছ আলপনা। কবিতা শব্দের বিন্যাসে সৃষ্ট,উজ্জ্বল আলোকে উজ্জ্বলিত ভাব-ভঙ্গির সম্ভার । এই কবিতার বইয়ের একদিকে আছে জীবনের গল্প,একদিকে আছে স্বপ্নের পথের ঠিকানা। একদিন দ্যাখো- হঠাৎ থমকে দাঁড়াবে তুমি, শান্তির গগনে সংকল্প করবে নিপুণ দক্ষতায় শীতল হৃদয়ে, সুখের চিত্র অঙ্কিত হবে। সযত্নে- প্রদর্শিত হবে, নগরীর সকল দৃশ্যপটে।
লেখক কিংবা সাহিত্যিকদের নিকট চারপাশের জগত সকলই গল্পের। লেখক ও কথাসাহিত্যিক নাঈমুল রাজ্জাক এর জন্ম ২২শে অক্টোবর ঢাকা জেলার সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে।সৃজনশীলতার প্রতিটি শাখায় তাঁর সমান বিচরণ। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এর সাবেক পরিচালক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এবং গৃহিণী মাতা জেসমিন আরার একমাত্র কন্যা তামান্না জান্নাত এবং একমাত্র পুত্র নাঈমুল রাজ্জাক। তার সহধর্মিণী জুঁই।তাদের একমাত্র পুত্রসন্তান আহনাফ। স্কুল ও কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে আইন বিষয়ে এলএলবি অনার্স,এলএলএম,এমএসএস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে এবং পোষ্ট গ্রাজুয়েশন ডিপ্লোমা হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট এ সম্পন্ন করেন।বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যায়নকালে কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ফিচার লেখক, কন্ট্রিবিউটর হিসেবে কাজ করেন এবং পরবর্তীতে জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সাথে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন।বইমেলায় প্রকাশিত অর্পিত তরঙ্গে,অবেলার নোনাজলে,নিভৃতে গোরব,উপাখ্যানে সমাপন ইত্যাদি নাঈমুল রাজ্জাক এর বইসমূহ যা পাঠকপ্রিয়তা লাভ করেছে। ২০১৮ সনের ৭-৮ ই ডিসেম্বর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের চিত্রশালা গ্যালারীতে ‘Through your eyes’ শিরোনামে তাঁর একক আলোকচিত্র প্রদশনী অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া সহকারী পরিচালক হিসেবে নাটকে কাজ করেছেন এবং কয়েকটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচিত্র নির্মাণ করেছেন।তিনি তাঁর বাবার প্রতিষ্ঠিত এ আর স্কুল এন্ড কলেজের নির্বাহী পরিচালক এবং আইন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন শিক্ষা,সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত রয়েছেন।তিনি এপার বাংলা ও ওপার বাংলায় জনপ্রিয়তা স্বল্প সময়েই লাভ করেছেন।তিনি বাউলতরী পদক,শুভজন লেখক পুরস্কার ছোটগল্প,এক্সিলেন্স বাংলাদেশ সম্মাননায় ভূষিত হন।