সাহিত্যের সাথে এদেশের মানুষের প্রগাঢ় বন্ধুত্ব হাজার বছরের পুরনো। আবহমান বাংলার প্রেম, পল্লিপ্রকৃতি দেশাত্মবোধ হৃদয়ে ধারণ করে মুজিবপ্রেমের পথিক, বর্তমান সময়ের উদীয়মান কবি ও সাহিত্যিক মোঃ সেলিম মিয়া তার চিন্তাশীল কলমের ছোঁয়ায় জীবনচরিত গ্রন্থে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশব-কৈশোর, সামাজিক ও রাজনৈতিক স্মৃতিবিজড়িত ঘটনাকে সাবলীল ভাষায় তার সাহিত্যকর্মে ফুটিয়ে তুলেছেন। এর সাথে সংযুক্ত করেছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি মহোদয় ও আমাকে। এ-লেখনির জন্য স্নেহের বন্ধনে আবদ্ধ করে লেখককে অভিনন্দন জানাচ্ছি। জনবান্ধব পুলিশ অফিসারের শত ব্যস্ততার মাঝেও তার ভাবনার কালিতে নিবিড় অনুভ‚তির বহিঃপ্রকাশ সত্যিই প্রশংসনীয়। জাতির জনকের আদর্শ বিশদভাবে বর্ণনা করার পাশাপাশি মহামান্য রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ মহোদয় ও আমার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে লিখেছেন বিধায় নতুন প্রজন্মের কাছে শিক্ষণীয় বিষয় হিসেবে এ-গ্রন্থ যথেষ্ট ভ‚মিকা রাখবে। আশা রাখি, তার এই গ্রন্থটি সকল বয়সের সামাজিক, রাজনৈতিক ও সৃজনশীলতার পথযাত্রায় পাঠক-হৃদয়ে স্থান করে নেবে। ‘মুজিববর্ষে মুজিব-আদর্শে’ অসাধারণ গবেষণালব্ধ এ-গ্রন্থ যেন অজানাকে জানার এক অন্যতম জীবনীগ্রন্থ। আমি পাঠকদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, বইকে ভালোবাসুন, বইকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করুন, নিজে পড়–ন এবং অন্যকে উপহার দিন। বই পড়ে ইতিহাস-ঐতিহ্যকে জানুন, জাতির জনককে জানুন এবং তাঁর আদর্শকে লালন করুন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই বইটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপকভাবে সাড়া জাগাবে এবং সফল গ্রন্থরূপে সমাদরে সমাদৃত হবে।