“প্রতিবিম্ব" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ রহস্যের কী সমাধান হয়? নাকি সমাধান জন্ম দেয় আরেক রহস্যের? রহস্য শব্দটিই এমন যা শোনার সাথে সাথে আমাদের চোখ কপালে উঠে যায় । পৃথিবীর এমন অগণিত রহস্য রয়েছে যেগুলোর সমাধান আজ অবধি হয়নি । রহস্যে থাকে এক আশ্চর্য মায়াজাল আমরা ঘুরে ফিরে বেড়াই সেই মায়াজালের গোলকধাধায় । শারমিন সুলতানা চৌধুরী তার লেখনি নৈপুণ্যতায় গা-ছমছমে চারটি সাইকো হরর থ্রিলার নিয়ে মলাটবদ্ধ হয়েছে ‘প্ৰতিবিম্ব’ । বইটির নামকরণকে স্বার্থক করেছে অতনু চরিত্রটির একদিন সত্যি সত্যিই প্রতিবিম্ব হয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে । আসলেই কী একজন জলজ্যান্ত মানুষ প্রতিবিম্ব হয়ে ঘুরে বেড়াতে পারে? সত্যিই প্রতিবিম্ব নাকি প্রতিবিম্বিত মানব? মূর্তি গল্পটির কথা বলতে গিয়ে আমাকে লেখিকার কল্পনাশক্তির বৈচিত্র্যের কথা বলতেই হচ্ছে। এমন একটা ভুবন যেখানে প্রাণহীন নিশ্চল মূর্তি প্রাণময় আর চলমান মানুষই আপাত মূর্তির ন্যায় নিশ্চল! এ গল্প না পড়লে বোঝাই যাবে না এর অনন্যতা। অহর্নিশ গল্পে এক অপার্থিব শক্তিমত্তার দ্বন্দ্ব এবং প্রেম মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। অনামিকা গল্পটি একদম টানটান ক্রাইম থ্রিলার । লেখিকার নিজস্ব ঋজু দৃষ্টিভঙ্গি এবং সাবলীল বিশেষণ; গল্পগুলোর আকর্ষণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এই বইটি প্রকৃত থ্রিলার প্রেমিদের তৃষ্ণা মেটাবে বলে আশা রাখি । ফৌজয়া খান তামান্না গল্পকার ও ঔপন্যাসিক
শারমিন সুলতানা চৌধুরী পেশায় সরকারি চিকিৎসক। বাবা ডঃ মোহাম্মদ শফি চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক ছিলেন, বর্তমানে অবসরে আর মা সুলতানা মমতাজ বেগমের জগৎ তার তিন ছেলে-মেয়ে। একমাত্র কন্যা জয়িতা আর লেখালিখি, এই জীবন। শখের বসে ২০১৭ এর জানুয়ারী তে লিখতে বসা, কবে যে নেশায় পরিণত হলো, তা জানা নেই।