আমার মতে, লেখকেরা শিক্ষকদের শিক্ষক। একজন লেখকের জীবনযাপন, চলনবলন, আচার-আচরণ দেখে পেশাদার শিক্ষকও শিক্ষা নিবেন। তার লেখা পড়ে-ই পেশাদার শিক্ষক শিখবেন এবং অন্যকে শেখাবেন। একজন পাঠক সম্মানীর বিনিময়ে বই সংগ্রহ করে, পড়ে। তার জীবনের নির্দিষ্ট সময়ের একাংশ ব্যয় করে। এ জন্যই ব্যয় করে যে, যেন তার জীবনের বাকি সময়টুকু আলোকিত হয়। জীবন সম্পর্কে জানতে পারে। দিকনির্দেশনা পায়। সচেতনতামূলক বার্তা পায়। উৎসাহ- অনুপ্রেরণা পায়। যেন অজানা প্রয়োজনীয় বিষয় জানতে পারে। হাসতে পারে। কাঁদতে পারে। একাকীত্ব দূর করতে পারে। এই স্বপ্ন নিয়ে যেই পাঠক বই সংগ্রহ করে, পড়ে। আমি সেই পাঠকের উদ্দেশ্য সফল করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা বা নিজের সর্বোচ্চ সাহিত্যজ্ঞান ঢেলে দিই বইয়ের পাতায়-পাতায়, বাক্য এবং প্রত্যেকটি শব্দে। এ বইটির “প্রেম-কাহিনী” একটি বাহন মাত্র, গল্পকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। চেষ্টা করেছি গল্পের মধ্যে ভালো কিছু বার্তা দেওয়ার। প্রেম-কাহিনীটা যদি উলঙ্গ গাছ হয়। বার্তাগুলো গাছের সবুজ পাতা। আমি চেষ্টা করেছি বইটির সাথে পাঠকের চুম্বকীয় একটি সম্পর্ক তৈরি করার। বাকি গল্পটুকু পাঠক-ই বলবেন।