নূর উদ্দিন আহমদ গহরপুরী। উপমহাদেশের একজন প্রখ্যাত আলীম শায়খুল হাদিস। ১৯৯৬ সাল থেকে প্রায় ৯ বছর তিনি জাতীয় প্রতিষ্ঠান কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের (বেফাক) সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বরেণ্য এই আলেমের ইন্তেকালের প্রায় ১৫ বছর পর তার ওপর প্রকাশিত হলো একটি সমৃদ্ধ ও প্রামাণ্য স্মারকগ্রন্থ।
স্মারকগ্রন্থটির শুরুতে রয়েছে আল্লামা গহরপুরী রহ.-এর সংক্ষিপ্ত জীবনী। নানা শ্রেণি-পেশার ২৪১ জনের লেখায় সমৃদ্ধ হয়েছে স্মারকগ্রন্থটি। দেশের প্রথম সারির আলেমদের বড় অংশের লেখা স্থান পেয়েছে এ স্মারকগ্রন্থে। রয়েছে এমপি-মন্ত্রী-মেয়রসহ সমাজের বিশিষ্টজনদের লেখাও।
১২টি অধ্যায়ে বিভক্ত স্মারকগ্রন্থটিতে এই বুজুর্গ আলেমের জীবনের প্রায় সব দিকই উঠে এসেছে। দীর্ঘ সময় নিয়ে কাজ করার ফলে স্মারকগ্রন্থটিতে এমন প্রায় ৭০ জন সমাদৃত ব্যক্তির লেখা এসেছে, যারা গত এক দশকে দুনিয়া থেকে চলে গেছেন।
প্রায় আটশ পৃষ্ঠার স্মারকগ্রন্থটি প্রকাশ করেছে আল্লামা গহরপুরী রহ. ফাউন্ডেশন। ঝকঝকে প্রচ্ছদে মোড়ানো বোর্ড বাঁধাই রয়েল সাইজের স্মারকগ্রন্থটির শেষ দিকে ২৪ পৃষ্ঠাজুড়ে চার রঙের প্রামাণ্য ফটো অ্যালবাম রয়েছে। সেখানে আল্লামা গহরপুরী রহ.-এর বিভিন্ন স্মৃতিচিহ্ন স্থান পেয়েছে।
শরীফ মুহাম্মদ বাংলাদেশের মিডিয়াঙ্গন আলোকিতকারী একজন আলেমে দীন। তিনি বেশ কয়েকটি ছদ্মনামে লেখেন : আবু তাশরীফ, ওয়ারিশ রাব্বানী এবং খসরু খান। জন্ম ১২ নভেম্বর ১৯৭১ সালে, ময়মনসিংহে। তার স্থায়ী ঠিকানা, ১৯ জেল রোড, গলগন্ডা, ময়মনসিংহ। বর্তমানে তিনি বসবাস করছেন পল্লবী, মিরপুর, ঢাকায়। জামিয়া ইসলামিয়া ময়মনসিংহের নুরানি বিভাগে ভর্তি হওয়ার মধ্য দিয়ে পড়াশোনা জীবনের শুরু। এক বছর পড়েছেন কিশোরগঞ্জ শোলাকিয়া ঈদগাহ সংলগ্ন জামিয়া নুরিয়া বাগে জান্নাত মাদরাসায়। ১৯৯২ সালে দাওরায়ে হাদিস সমাপ্ত করেন জামিয়া কোরআনিয়া, লালবাগ, ঢাকা থেকে। ১৯৯২-৯৩ সালে মাওলানা মুহিউদ্দীন খান প্রতিষ্ঠিত সপ্তাহিক মুসলিম জাহানে লিখতে শুরু করেন। দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা প্রকাশ হলে সহ-সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। এ ছাড়া তিনি মাসিক আল কাউসারের নির্বাহী সম্পাদক, মাসিক যমযমের সম্পাদক ও সাপ্তাহিক মুসলিম জাহান, মাসিক আল জামেয়া ও বার্তা টোয়েন্টিফোর ডটনেটের সম্পাদনা বিভাগে কাজ করেছেন। সম্পাদনা করেছেন বেশ কিছু মূল্যবান স্মারকগ্রন্থও। এর মধ্যে হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) স্মারকগ্রন্থ, মাওলানা ফয়জুর রহমান (রহ.) স্মারকগ্রন্থ এবং আল্লামা গহরপুরী (রহ.) স্মারকগ্রন্থ উল্লেখযোগ্য। ‘সাহাবায়ে কেরামের গল্প’ (১৯৯৬) তার প্রথম বই। প্রকাশিত গ্রন্থ প্রায় ৩০টি। ২০০৯ সালে শিকড় সাহিত্য পুরষ্কার এবং ২০১২ সালে মাসিক আদর্শ নারীপদক লাভ করেন।