গোল হতে হতেও পৃথিবীটা কমলালেবুর আকার নিয়ে নিলো। হয়তো ভারসাম্য রক্ষার জন্যই। আর পৃথিবীর বুকে দাপিয়ে বেড়ানো মানুষ শিশুকাল শেষ হবার আগেই ভারসাম্য রক্ষার জ্ঞান জেনে যায়। সে জেনে যায় কখন কালো কে কালো বলা যায় আর কখন ধুসর বলতে হয়। কিন্তু তরুর মত কারো কারো সেই জ্ঞান হয় না। সবচাইতে কাছের বন্ধু নিশাতের ভাষায়- “তোর সমস্যাটা কি জানস? মন আর জিহ্বার মাঝে মগজ নামে আমাদের একটা ফিল্টার আছে। কোন কথা বলা যাবে আর কোন কথা বলা যাবে না সেটা আমাদের ফিল্টার ঠিক করে দেয়। তোর সমস্যা হইলো হয় তোর ফিল্টার নাই অথবা কাজ করতাছে না।” এই ফিল্টারের অভাবেই মেধাবী হয়েও তরু, মা-বাবা, বোন, দাদা-দাদি...সমগ্র দুনিয়ার কাছেই বোকা-হাবা হিসাবে পরিচিত। এই বোকা তরু ডায়েরিতে লিখে রাখে তার বোকামির সব গল্প। কি আছে বোকা ডায়েরিতে? শিশু তরুর কথাকে কেন্দ্র করে সংসার বিভাজন থেকে শুরু করে বোনের প্রেম, মা-বাবা, দাদা দাদির গল্প, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার আক্ষেপের গল্প, এমনকি নানির অদ্ভুত জীবনের গল্প। আরো আছে এতিম ছেলে মনসুরের সাথে তরুর প্রেমের গল্প। এসবই কোনো না কোনোভাবে আমার, আপনার সমসাময়িক জীবনেরই গল্প। আসুন বোকা মেয়েটার বর্ণনায় নিজেদের জীবন গল্পই পড়ি ।
মোস্তাফিজুর রহমান টিটু জন্ম ২৭শে সেপ্টেম্বর ১৯৭০। পেশায় সফটওয়্যার প্রকৌশলী। এক যুগ যাবত অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। গত পাঁচ বছর যাবত নিয়মিত লিখছেন। প্রথম আলোসহ কিছু অনলাইন এবং ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে বেশ কিছু ছোট গল্প। মূলত পাঠকদের অনুপ্রেরণাতেই এটা লেখকের প্রথম ছোট গল্পের সংকলন।