গ্রিক, মিশরীয় কিংবা নর্স পুরাণ-কাহিনির ভিড়ে, বাংলাদেশে কেল্টিক পুরাণ কখনই তেমন আলোচিত বিষয় ছিল না। কিন্তু অন্যান্য পুরাণের মতো কেল্টিকদের পুরাণেও আছে সেই দেব-দেবী, দানোদের গল্প, বীরদের বীরত্বগাঁথা। গেইল, গল, ব্রিটন, আইরিশ আর গেলিশিয়ানদের এসব প্রাচীন কাহিনীই লেখা আছে এই বইতে। এক শূন্যস্থান থেকে একদা সৃষ্টি হয়েছিল প্রথম দেবতা ডন আর দেবী দানুর, কেল্টিক পুরাণ অনুযায়ী একেবারে শুরুর দিকের ঘটনা এটা। তাদের ভালোবাসা থেকে সৃষ্টি হলো সন্তানের, আর সেই সন্তানদের ঘৃণার ফলাফল আজকের এই পৃথিবী। এরপর একে একে সিজেরিয়ান, পার্থলনিয়ান, নেমেডিয়ান, ফির বল্গ, থুয়া ডে দানান আর মিলিশিয়ানরা আসে আয়ারল্যান্ডে; আর তাদের থেকেই শুরু কেল্টিক জাতির। ফোমোরিয়ান নামের আয়ারল্যান্ডের আদিবাসী দানোদের হটিয়ে এই জাতিরা নিজেদের আবাসস্থল বানিয়েছিল সেখানে, অথচ পুরাণের পাতায় তাদেরই জয়জয়কার। আসলেই, ইতিহাস তো রচিত হয় বিজয়ীদের হাতে। পুরাণও তার ব্যতিক্রম হবে কেন? গ্রিক পুরাণে যেমন জিউস, আর নর্স পুরাণে ওডিন—তেমন কেল্টিক পুরাণে রয়েছে দাগদা। এছাড়াও রয়েছে আরও অনেক দেব-দেবী আর দানোরা যাদের উপাখ্যান রচিত রয়েছে কেল্টিক পুরাণের পাতায় পাতায়। তবে কেল্টিক পুরাণের কিছুটা অংশ বিষণ্ণ প্রকৃতির। লিরের সন্তানদের গল্প কিংবা ত্রিস্তা আর ইসেখটের ভালোবাসার কাহিনি পড়ে চোখের পানি আটকে রাখতে পারবেন এমন পাঠক পাওয়া দায়। কেল্টিক পুরাণের জগতে স্বাগতম।
Md. Fuad Al Fidah জন্মগ্রহণ করেছেন ২৫ জুন, ১৯৮৮ সালে তার নানা বাড়ি সিরাজগঞ্জে। বাবা পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ও মা গৃহিণী। তার জীবনের প্রথম অংশটুকু কেটেছে পাটগ্রাম আর চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে। রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এস.এস.সি. ও। রেসিডেনশিয়াল মডেল কলেজ থেকে এইচ.এস.সি. পাশ করেন তিনি। পরবর্তীতে তিনি শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এম. বি. বি. এস. পাশ করেন। লেখালেখিতে তিনি আসেন মূলত শখের বশে।