আমরা কত রকমের না বলা কষ্ট, গভীর ব্যথা, অসহনীয় যন্ত্রণা নিয়ে এই সমাজে বসবাস করি। রাগ, উত্তেজনায় ভুল-ভাল সিদ্ধান্ত নিয়ে গোটা জীবন কেমন ধুম্রজালে আটকে থাকে। আবার জীবনের কোনো একটা বাঁকে টুকরো টুকরো আনন্দের কাব্যও থাকে, দুষ্টু মিষ্টি মুহূর্তের মিশেলেও জীবন যাপিত হতে থাকে। কখনও খুব চমৎকার মানুষেরা খুব অল্প আয়ু নিয়ে পৃথিবীতে আসে আর মনে রাখার মতো কিছু কাজ করে হঠাৎ-ই আমাদেরকে শূন্য করে চলে যায়, আমরা মায়ার বসে সে যাওয়াকে অসময়ে চলে যাওয়া বলি। কিন্তু তাকে যেতেই হয়। দুর্ঘটনা, সুঘটনা সব মিলেই কিন্তু জীবন, তাইতো জীবনটা রঙিন আর ঘটনাবহুল। জীবনের কোনো একটা বাঁকে এসে দেখা যায় ‘ক্ষমা’ শব্দটা জীবনের একটা নতুন দিক উন্মোচন করে দেয়। তাতে, জীবনটা একটু সহজ আর স্বস্তিময় হয়ে ওঠে। সমাজের সেই সকল অনুভ‚তি আর যাপিত জীবনের অংশ নিয়েই ‘গহিনের অনন্ত আকাশ’ রচিত হয়েছে। কারোর ব্যক্তিগত জীবনচিত্রের সাথে মিল থাকলেও থাকতে পারে। মানুষের জীবন প্রবাহে একটা গহিন অংশ থাকে, সে গহিনে একটা অনন্ত আকাশ থাকে এবং সেই আকাশে আনন্দ-বেদনা দুটোরই সুর থাকে! মানুষকেই পছন্দ করে নিতে হয় সে কোন সুরে তার জীবনটাকে বাঁধবে।