মহিমান্বিত কুরআন–মর্মার্থ ও শাব্দিক অনুবাদ’ একটি গবেষণামূলক সংকলন। মানুষ কোন কিছু পড়ে আনন্দ পায়, যখন সে বক্তব্যটি বোঝে। নিজের সাথে মিলিয়ে অনুধাবনের সাথে সাথে পড়ার আনন্দ বাড়তে থাকে। কুরআন বোঝার আনন্দ পেতে হলে ‘মহিমান্বিত কুরআন–মর্মার্থ ও শাব্দিক অনুবাদ’ অতুলনীয় কারণ, অনুবাদের পাশাপাশি কুরআনের বর্ণিত বক্তব্য, প্রেক্ষিত, ঘটনা, স্থান, ভাষা, ইত্যাদির যতটুকু প্রাথমিক জ্ঞান না থাকলে পাঠকের কাছে বিষয়টির পুরোপুরি হৃদয়ঙ্গম কষ্টকর হতে পারে তা সংক্ষিপ্তভাবে যথাস্থানে সন্নিবেশিত হয়েছে। সহায়ক গ্রন্থ ও রিসোর্স সমূহ বিশ্লেষণপূর্বক প্রজেক্ট গাইডলাইনের আলোকে অনুবাদ প্রামাণিক ও পরিশীলিত করা হয়েছে। ‘কিং ফাহাদ গ্লোরিয়াস কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স, মদিনা’ থেকে প্রকাশিত ড. মোহাম্মদ তাকি’উদ্বীন আল-হিলালী ও ড. মোহাম্মদ মুহসিন খাঁন কর্তৃক অনুদিত ‘দি নোবেল কুরআন’, ‘সাহি ইন্টারন্যাশনাল’, ড. মোস্তফা খাত্তাব অনুদিত ‘দি ক্লিয়ার কুরআন’, ‘তাইসিরুল কুরআন’, ‘বায়ান ফাউন্ডেশন’, ড. আবু বকর যাকারিয়া, ড. ফজলুর রহমান, মুজিবুর রহমান—প্রমূখ প্রথিতযশা শায়েখগণের প্রকাশিত ইংরেজি ও বাংলা অনুবাদগুলোকে বিশ্লেষণপূর্বক ‘মহিমান্বিত কুরআন, মর্মার্থ ও শাব্দিক অনুবাদ’ তৃতীয় সংস্করণটি পরিমার্জিত ও পরিশোধিত করা হয়েছে। বর্ণনা প্রসঙ্গের আলোকে সর্বাধিক উপযুক্ত শাব্দিক অনুবাদ এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা যোগ করা হয়েছে যা কুরআনের বার্তা সঠিকভাবে বুঝতে সাহায্য করবে, ইনশাআল্লাহ। বিদ্যমান অনুবাদসমূহের মধ্যে যখনই কোন বৈসাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়েছে, তখনই প্রামাণিক গবেষণার আলোকে স্পষ্ট ও সঠিকতর অনুবাদ প্রয়োজনবোধে ব্যাখ্যাসহ উল্লেখ করা হয়েছে। উপরন্তু মহিমান্বিত কুরআন – শাব্দিক অনুবাদের সংকলনটি আরবি শব্দ ও এর অর্থের সাথে পাঠকের সম্পর্ক গড়ে কুরআনের ভাষা শেখা সহজতর করে। এতে— ক। প্রতিটি শব্দের অর্থ এর ঠিক নীচে দেওয়া হয়েছে। খ। আয়াতের অনুবাদগুলো ভাবার্থের চেয়ে আরবি শব্দের সরাসরি অর্থের কাছাকাছির রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। যে ক্ষেত্রে হুবহু শাব্দিক অর্থ আয়াতের ভাব প্রকাশ করে না, সেক্ষেত্রে অভীষ্ট অর্থ বাক্যের অনুবাদে রাখা হয়েছে। পুরো কাজের উদ্দেশ্য পাঠককে সরাসরি আরবি থেকে বুঝতে সক্ষম করা। গ। অনুবাদে বাক্যের গঠনশৈলী কুরআনের আরবি শব্দের ক্রমধারার কাছাকাছি রাখার চেষ্টা করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থীর জন্য আরবি ও বাংলা মিলিয়ে অনুধাবন সহায়ক। ঘ। পবিত্র কুরআনে প্রায় ৮০,০০০ শব্দ রয়েছে তবে মূল শব্দগুলি কেবল ২০০০ এর কাছাকাছি! এটিকে কুরআনের একটি অলৌকিক নির্দশন হিসাবেও অভিহিত করা যেতে পারে। যদি কোনও পাঠক প্রতিদিন ১০ টি নতুন শব্দ শেখার সিদ্ধান্ত নেন, তবে তিনি সাত মাসের মধ্যেই এর মূল বার্তাটি বুঝতে পারবেন! সুতরাং, এটি কুরআন বুঝতে খুব উপযোগী, যদি কেউ শিখতে আগ্রহী হয়। ‘মহিমান্বিত কুরআন–মর্মার্থ ও শাব্দিক’ অনুবাদ সম্পাদনা পরিষদে রয়েছেন প্রখ্যাত আলেম সহ ইলাননূর টিমের সদস্যবৃন্দ, যারা রিয়ার কলুষতামুক্ত থেকে আল্লাহর কাছেই আজরের প্রত্যাশী বিধায় ব্যক্তি নাম অনুল্লিখিত থাকল।