‘‘যে শ্রাবণে ফাগুন"বইটির ভূমিকা: আমার একটি ভীষণ বাজে বদ অভ্যাস আছে। খুবই দুঃখের সাথে বলছি, পরীক্ষা এলেই আমার নতুন গল্প কিংবা উপন্যাস লিখতে ইচ্ছে হয়। ঐ সময়টাতেই আমি মনের মত সব প্লট খুঁজে পাই। এমনকি শুধু লিখেও ফাকিবাজ আমি সন্তুষ্ট নই। পরীক্ষা আসবে আর আমি গল্পউপন্যাসের বই পড়ব না তা কখনাে হয় না। এক ঘূর্ণিঝড় দীর্ঘশ্বাস! যাই হােক, এমনটা হওয়ার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে আমি নিজের সম্পর্কে একটি দারুণ সত্য আবিষ্কার করতে পেরেছি। উপলব্ধিটি হলাে আমি অত্যধিক দুশ্চিন্তায়, মানসিক চাপে কিংবা প্রতিকূল অবস্থায় লেখালেখি এবং বই পড়ায় মধ্য দিয়ে নিজেকে সামলাতে পছন্দ করি। এমনি একটি দিন ছিল ১৫ মার্চ, ২০১৯। আমার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার মাত্র ১৫ দিন আগে ফাঁকিবাজ আমি দুশ্চিন্তায় পাগলপ্রায়। হয়ে মনকে ফুরফুরে করে তুলতে ভেজা গােলাপ' নামক দুই পর্বের ছােট একটি গল্প লিখে ফেসবুকে আমার লেখালেখির গ্রুপ 'R.E.A.D. LAMYEA (Readers enjoy authors' dreams) a carpat aisti গল্পটি পাঠকদের কাছ থেকে আমাকে বিস্ময়কর, তুলনারহিত সব সাড়া এনে দিয়েছিল। পাঠকরা প্রায় সময় এর পরবর্তী কাহিনী জানতে চেয়ে আবদার করে বসতাে। এমনকি আমার প্রথম বই ‘সেদিন প্রকাশিত হওয়ার পর অনেক পাঠকদের কাছ থেকে জানতে পারলাম তারা শুধু আমার এই ছােট গল্পটি পড়েই আমার বইটি কিনে ফেলেছে এবং ‘ভেজা গােলাপ’ এর পরবর্তী কাহিনী নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বইয়ের জোরালাে আবেদন সবসময় তারা আমার কাছে রেখে যেত। কয়দিন পরপরই আমি এই বিষয়ে ইয়া বড় বড় মেসেজ পেতাম। এমনকি ফেসবুকে বিভিন্ন কারণে লাইভে এলেও ‘ভেজা গােলাপ’ গল্পটি বড় করার জন্য কমেন্টবক্সে ঝড় উঠত। একজন নবীন লেখক হিসেবে আমি প্রথম বই ‘সেদিন এর মাধ্যমে পাঠকদের কাছ থেকে আলহামদুলিল্লাহ্ অভূতপূর্ব সাড়া এবং ভালােবাসা পাওয়ার পর ভাবলাম আমিও আমার পাঠকদের ভালােবেসে কিছু একটা করব। এভাবেই পাঠকদের ভালােবাসতে গিয়ে তাঁদের আকাঙ্খিত ‘ভেজা গােলাপ’ নামক দুই পর্বের সেই ছােট গল্পটি আমার হাত ধরে ইয়া বড় ‘যে শ্রাবণে ফাগুন’ হয়ে গেছে। | ধন্যবাদ তাঁদের যারা ভেজা গােলাপ' গল্পটির পরবর্তী কাহিনী জানতে চেয়ে বারবার আমায় অনুরােধ করেছিলেন,পাগল করে তুলেছিলেন। আপনাদের জন্যই আজ ‘যে শ্রাবণে ফাগুন’ হয়েছে। এই উপন্যাসটি অনেকগুলাে প্রেমের গল্পের যােগসূত্র। উপন্যাসটিতে আপনারা একইসাথে হরেক রকমের ভালােবাসা দেখতে পাবেন।
যে সময়টায় পড়ার টেবিলে বসে বইয়ে মুখ গুঁজে ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখবার কথা, ঠিক সে সময়টায় লেখক হওয়ার স্বপ্নে মাতাল এক তরুণী। প্রিয়জনদের কাছে যে কিনা স্নেহ নামে অধিক পরিচিত। পড়ার টেবিলের চেয়ে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ, ঝুম বৃষ্টি, মেঘে ঢাকা চাঁদ, পুরোনো গল্পের বইয়ের তাক, কৃষ্ণচূড়ার লাল গালিচা, কবিতার ছন্দ তাকে বেশি টানে। চুম্বকের মতন আকর্ষণ করে গভীর রাতে গল্প বলা প্রতিটা নিশ্চুপ জানালা, মুক্তজীবন! জন্ম ২০০০ সালের ১০ আগস্ট। পিতা মোঃ দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী মাসুদ, মা জাকিয়া মান্নান জুনু। পৈতৃক নিবাস ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিনাইর, চৌধুরী বাড়ি। মাতুলালয় পাশের গ্রাম চাপুইর, সাহেব বাড়ি। জন্ম এবং বেড়ে উঠা কুমিল্লায়। ২০১৭ সালে আওয়ার লেডী অব ফাতিমা গার্লস হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং ২০১৯ সালে কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন। "সেদিন" তাঁর প্রথম বই।