ভূমিকা : কিশোরদের মন দুরন্ত। ওরা সারাদিন ছোটাছুটি করতে ভালোবাসে। পড়াশোনার পাশাপাশি সারাদিন কতই না উদ্ভট কাণ্ড ঘটিয়ে থাকে। এসব নিছক দুষ্টুমি ছাড়া কিছুই না। এসব দুষ্টুমি কোনো অপরাধের মধ্যে পড়ে না। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, এডভেঞ্চার, দুরন্তপনা কৈশোরকালকে প্রাণবন্ত করে তোলে। প্রতিটি কিশোরের জীবনে নানা দুষ্টুমির গল্প রয়েছে। যখন কৈশোর পেরিয়ে যায়, তখন তা ভীষণভাবে মনে পড়ে। আসলে কৈশোরকাল জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় যখন জীবনের কোনো বাঁধা-বিপত্তি, নিয়ম-কানুন কিংবা সংসারচিন্তা থাকে না। থাকে না কোনো দুশ্চিন্তা, দুর্ভাবনা, দুরাশা। মনে শুধু ছুটে বেড়ায় পাখির মত উড়ে চলার ভাবনা- ইশ্ আমি যদি পাখি হতাম!
‘দুষ্টু কিশোরদের কাণ্ড’ বইতে কিশোরদের নানা উপাখ্যান, নানা উদ্ভট কাণ্ড, নানা খুঁনসুটি সুচারুভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। যখন কিশোররা বইয়ের গল্পগুলো পড়বে, তারা মিলিয়ে নিবে এসব তো আমাদের সাথেই প্রতিনিয়ত ঘটে, ঘটছে। আমরাই তো এমন দুরন্তপনায় সারাদিন মেতে থাকি। এ যেন আমাদের জীবনের রোচনামচা। সবকটি কিশোর গল্পের মধ্যে কিশোরদের খুঁজে ফেরার যে তাড়না, বাসনা ও ভাবনার প্লট সাজানো হয়েছে, তা প্রতিটি কিশোরের মনকে ছুঁয়ে যাবে।
আমি শিশুদের জন্য লিখি, কিশোরদের জন্যও লিখি। কিশোর বন্ধুদের এই বইয়ের গল্পগুলো মন ছুঁয়ে যাবে বলে আমি আশাবাদি। কিশোরদের ভালো লাগার বর্হিঃপ্রকাশই আমার শ্রমের স্বার্থকতা। পরিশেষে, কিশোরদের প্রতি উপদেশ- গল্পের আলোকে জীবন নয়, বরং জীবনের আলোকে গল্প হোক। তাই গল্পে ব্যবহৃত যা কিছু নেতিবাচক তা বর্জনীয়, যা কিছু ইতিবাচক তার সামান্য হলেও গ্রহনীয় হতে পারে। তোমাদের সার্বক্ষণিক মঙ্গল কামনা করি।
মোহাম্মদ অংকন, বর্তমান লেখকদের মধ্যে পরিচিত মুখ। শৈশব-কৈশোরে লেখালেখির হাতেখড়ি। নিয়মিত লিখছেন দেশ-বিদেশের পত্রপত্রিকা, ম্যাগাজিন ও সাময়িকীতে। সাহিত্যের সব শাখাতেই আছে সমান দক্ষতা। দক্ষতা, আত্মপ্রত্যয়ী মনোভাব ও প্রতিশ্রুতিশীলতা ক্রমশ এই লেখককে আগামীর পথ দেখাচ্ছে। বছরব্যাপী নতুন বই প্রকাশের মাধ্যমে পাঠকমহলে চমক সৃষ্টি করে চলেছেন। বাংলা সাহিত্যে এই প্রতিভাবান লেখকের অবাধ বিচরণে মুগ্ধ সবাই। তিনি ১৯৯৭ সালের ৭ নভেম্বর নাটোরের চলনবিল অধ্যুষিত সিংড়া উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে পড়াশোনা করছেন। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র হওয়ার পরও লেখালেখির সূত্রে ঝুঁকে পড়েন সাংবাদিকতায়। দৈনিক মানবকণ্ঠে সাব-এডিটর হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও সরকারি চাকরি পাওয়ায় তা আর করা সম্ভব হয় না। বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের সর্ববৃহৎ ইউনিট ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)’র কম্পিউটার বিভাগে কর্মরত আছেন। পুরস্কার ও সম্মাননা: ‘পাপড়ি-করামত আলী পাণ্ডুলিপি পুরস্কার-২০১৯’, ‘রূপচাঁদা: অদেখা বাংলাদেশ সেরা গল্পকার-২০১৯’, ‘চয়েন বার্তা সম্মাননা-২০২০’, ‘লিখিয়ে পাণ্ডুলিপি পুরস্কার-২০২০’, ‘প্রিয় বাংলা পাণ্ডুলিপি পুরস্কার-২০২২’।