আল্লাহ সর্বপ্রথম নিজ নূরের তাজ্জালী দিয়ে ‘নূরে মুহাম্মদী’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সৃষ্টি করেন। আল-কোরআন সূরা নূর-৩৫ আয়াতে বর্ণিত ‘নূর’দ্বারা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বোঝানো হয়েছে। উহাতে বর্ণিত ‘দীপাদার’ হচ্ছে তাঁর ‘বক্ষ মোবারক’, ‘ফানুস’ হচ্ছে তাঁর ‘পবিত্রতম হৃদয়’ এবং ‘প্রদীপ’ হচ্ছে ওই আলো যা আল্লাহতা’য়ালা পবিত্রতম হৃদয়ে স্থাপন করেছেন। সুরা মাইদাহ-১৫, ‘কাদ জা আকুম মিনাল্লাহি নূরউন ওয়া কিতাবুন মুবিন’। উক্ত ‘নূর’ বা আলো হচ্ছেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং ‘কিতাব’ হচ্ছে ‘আল-কোরআন’। তদুপরি সুরা আহযাব-৪৬, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ‘সিরাজুম মুনিরা’ তথা আলোকোজ্জ্বলকারী সূর্য রূপে প্রেরণ করা হয়েছে মর্মে ঘোষণা করেন- আল্লাহ। ‘আল্লাহর একাত্ববাদ’ এবং রাসুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রেসালতের উপর বিশ্বাস স্থাপনের মাধ্যমে ‘ঈমান’ আনায়ন ও তাঁর ছোহোবতে সাহাবায় কেরামের ‘অন্তর-আত্মা’ নূরের আলোকে আলোকিত হয়েছেন। আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত বাইয়াতে রাসুল গ্রহণকে ফরজ করেছেন (সুরা ফাতহ-১০ ও ১৮ এবং সুরা মুমতাহিনা-১২)। তেমনিভাবে আহলেবাইত তথা অলি-আল্লাহগণের নিকট বাইয়াতে রাসুল গ্রহণের মাধ্যমে তালকীন এবং তাঁদের ছোহোবতে বান্দার ‘অন্তর-আত্মা’ আলোকিত হয়ে উঠে। সে আলোতে বান্দার ‘অন্তর-আত্মা’ দেখতে পান মর্মে ‘আলোকিত মানব’ বইতে তুলে ধরা হয়েছে।