মফস্বলের জয়িতা বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে, চার বছর হয় ঢাকায় এসেছে। জয়িতা যখন মনে করলো তার সব অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে ঠিক তখনই তার জিবনে একের পর এক ঘটতে থাকলো নাটকীয়তা। সম্পর্কের টানাপোড়েনে জয়িতা কি তার জিবনে খুজে পাবে সঠিক লোকটি কে? সে কি নেশার অন্ধকারে ডুবে থাকা ড্যানির সাথে ঘর বাধবে নাকি ড্যানিও তার সাথে প্রতারণা করবে? পাকিস্তানী যুবক জয়িতার প্রেমে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে। এ সব কিছুর মাঝে আবিরের আগমন-ই বা কিভাবে? নেশাগ্রস্থ ড্যানি নেশা করতে গিয়ে বেলার সাথে পরিচয় হয়। আবির গান গাইতে ভালোবাসে। ভালোবাসে সমুদ্রে ঘুরতে, পাহাড় চড়তে। কে জানতো এই পাহাড়ের চড়াই উৎরাই একদিন তার জীবন বদলে দেবে? প্রেম, জন্ম, মৃত্যু অথবা বিয়ে এসবে কি সত্যিই আমাদের কোন হাত আছে? কয়েক বছর পর পাহাড়ের কোলে আবিরের মতোই মোটা ফ্রেমের চশমা, জিন্সের সাথে টিশার্ট পড়ে তার ওপর শার্ট, শার্টের হাটা গুটিয়ে রেখে খেলার ছলে ছুটোছুটি করা ছোট্ট ছেলেটার নাম শুভ্র। শুভ্রকে দেখলেই দীর্ঘশ্বাস ফেলে আবিরের কথা মনে পরে তার মায়ের। শুভ্রের মায়ের নাম তবে কি? জয়িতা, ড্যানি, বেলা অথবা আবির। চারজন চার জগতের মানুষ। তাদের জিবন এক সুতোয় অত্যন্ত দক্ষতার সাথে গেথেছেন ঔপন্যাসিক মেহেনীল তাসনিম জয়া। তেইশ বছরের জয়িতা কিভাবে আটচল্লিশ বছর বয়সী ড্যানির প্রেমে পরে? আলী কি এতো ভালোবেসেও জয়িতার সাথে বেইমানি করবে? বেলারও কি কোনো ভুমিকা রয়েছে জয়িতার পরিণতিতে? আবীরের সাথে কি জয়িতার দেখা হয়েছিল? শুভ্র’র মা তবে কে? জানতে হলে পড়ুন- "অন্তঃপুরের অন্তরালে"
মেহেনীল তাসনিম জয়া ১৯৯৭ সালের ৪ই ডিসেম্বর রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ব্যাবসায়ী এবং মা গৃহিনী। বাবা-মা এর একমাত্র মেয়ে তিনি। ভাই বোন না থাকায় কৈশোর বয়সে বই ই ছিল তার একমাত্র প্রকৃত বন্ধু। বর্তমানে তিনি একটি মাল্টি-ন্যাশনাল শিপিং কোম্পানিতে হিউম্যান রিসোর্স প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন। বই পড়ার অভ্যাস থেকেই একসময় তিনি চারপাশে ঘটে যাওয়া চাঞ্চল্যকর বাস্তব ঘটনা ও কল্পকাহীনির সংমিশ্রনে লিখতে শুরু করেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। পাঠকদের আগ্রহ ও অনুপ্রেরণার প্রতি সম্মান জানাতেই তার লেখালিখির জগতে পদার্পণ ঘটে। অন্তঃপুরের অন্তরালে ....... ধাচের উপন্যাসটি লেখিকার প্রথম প্রকাশিত সাহিত্যকর্ম।