গ্রহ নক্ষত্রের ঘুর্ণন ও আবর্তনের কারণে মহাকাশে যে সব ঘটনা ঘটে- তা আমরা অ্যাস্ট্রনমির মাধ্যমে জানতে পারি, আর গ্রহ নক্ষত্রের প্রভাবে মানব শরীর ও জীবনে কীধরনের প্রভাব পড়ে তা অ্যাস্ট্রলজির মাধ্যমে জানতে পারি এবং রেয়াজত সাধনার মাধ্যমে স্রষ্টার নৈকট্য অর্জন করে যে দিব্য জ্ঞান বা রহস্য জ্ঞান লাভ করা হয় তা হলো আধ্যাত্মিক জ্ঞান। আধ্যাত্মিক জ্ঞানের বহিঃপ্রকাশ হলো অ্যাস্ট্রলজি। অ্যাস্ট্রলজির জ্ঞান ঋষি আউলিয়াদের জ্ঞান বলে, যে কেউ সহজে এটি বুঝতে পারে না। এই জন্য অনেকেই অ্যাস্ট্রলজি বিষয়ক জ্ঞান সম্পর্কে না-জেনে, না-বুঝে অবজ্ঞা সহকারে অবৈজ্ঞানিক ও ভিত্তিহীন বলে মনে করেন, যা মূর্খতার পরিচায়ক। বরং জ্যোতিষবিজ্ঞানের সারগর্ব জ্ঞান ও সূত্র নিয়ে জ্যোতির্বিদেরা মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করছেন। আধ্যাত্মিকতা ব্যতীত অ্যাস্ট্র্রলজি ও অ্যাস্ট্রনমি পরিপূর্ণভাবে বোঝা যায় না। তাই তিনটি একসূত্রে গাঁথা। এই গ্রন্থে সহজ ও সাবলীল ভাষায় অ্যাস্ট্রলজি, অ্যাস্ট্রনমি ও আধ্যাত্মিকতার সর্ম্পক, ইসলাম ধর্মে জ্যোতিষবিজ্ঞানের প্রয়োগ ও ভিত্তি, মানবজীবনে এর প্রয়োগ, অ্যাস্ট্রলজির কিছু সূত্রের ব্যাখ্যা, মহাকাশে ঘটে এমন কিছু ঘটনার বিবরণসহ নানাবিষয় নিয়ে সম্যক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
ড. আবদুল আজিম শাহ্ ১৯৮৩ সালের ১৫ জানুয়ারি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার পূর্ব-ফরহাদাবাদ (মতিভাণ্ডার দরবার শরিফ) গ্রামের সম্ভ্রান্ত শাহ্ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা হযরত শাহসুফি মওলানা আবুল ফয়েজ শাহ্, মাতা- শাহযাদী দিলরুবা আক্তার। গাউছে ভাণ্ডার হযরত মতিয়র রহমান শাহ্ (ক.) ফরহাদাবাদীর দৌহিত্র। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। এবং ভারতের জামশেদপুর সেন্টার অব অ্যাস্ট্রলজিক্যাল স্টাডি অ্যান্ড রিসার্চ ফর পাবলিক ওয়েলফেয়ার থেকে ‘অ্যাস্ট্রলজি ও আধ্যাত্মিকতা' বিষয়ের ওপর পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি চট্টগ্রাম মতিভাণ্ডার দরবার শরিফের আধ্যাত্মিক উত্তরসূরি, ফয়েজিয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, মওলা আলী একাডেমির মহাপরিচালক, রেনেসাঁ লিমিটেডের পরিচালক এবং অ্যাস্ট্র-কনসালটেন্ট। প্রকাশিত গ্রন্থ: ‘ইসলাম ও বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে সৃষ্টিতত্ত্ব ও পঞ্চতত্ত’ এবং ‘আধ্যাত্মিকতা ও বিজ্ঞান'।