সাহেব বাড়ি কিন্তু আসলেই আছে। আমাদের এই বাংলাদেশেই আছে। সেই বাড়ি এখন বিরানভূমি। মানুষের অভিশাপে নাকি সময়ের প্রয়োজনে, সেই কথা না হয় তোলাই থাক। এই সব কাহিনির পটভূমি এবং চরিত্র বাস্তব। নাকি অবাস্তব? আমার বা আপনার আশপাশে, নানি-দাদিদের মুখে শোনা গল্প, শ্লোক, পুঁথি পাঠে এমন কত শত গল্প ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। রাজা-রানীদের গল্প। জমিদারবাড়ির গল্প। আছে প্রজাদের গল্প। বীরদের গল্প। আবার এখনো বাংলার বুকে আছে মীর জাফরের গল্প। সাহেব বাড়ি থাকলে কি আপনারা গল্পটা অধিক মনোযোগ দিয়ে পড়বেন নাকি কাল্পনিক হলে? তবে ধরে নিন, অর্ধেক সত্য আর অর্ধেক মিথ্যা। বা সবটুকুই সত্য নাকি সবটুকুই মিথ্যা? সাহেব বাড়ি আছে, আবার নেইও। হয়তো সেই আগের স্থাপত্য নেই। দেড়শ বছর আগের স্থাপত্য টিকিয়ে রাখা কি এত সোজা? কয়টাই বা বাকি আছে আমাদের বাংলাদেশে? হয়তো সেই পুরাতন ভূমির উপরে উঠে গেছে নতুন কোনো দালানকোঠা। আগের চেয়েও জমকালো, চোখ ধাঁধানো। মানুষগুলোই তো হারিয়ে যায়, দালানকোঠা শুধু রয়ে যায় দীর্ঘশ্বাসের মতো। তবে সেই গাব গাছটা, সেই বড় কাকচক্ষু দিঘিটা কিন্তু আজও আছে। আমি নিজেই দেখেছি। গাছের তলায় গিয়ে বসেছি। তপ্ত দুপুরেও সেই গাছ আমাকে নরম ঠান্ডা বাতাসে বড় আরাম দিয়েছে। নাকি বসিনি আমি? লেখক মানুষ। বানিয়ে বানিয়ে বলছি? হলেও হতে পারে! কে জানে? যারা জানবার, তারা কিন্তু ঠিকই জেনে যাবে। না হয় শুধু গল্প হিসেবেই পড়ুন।