মাঝরাত। বাথরুমের আয়নার সামনে থমকে দাঁড়িয়ে আছে হিমেল। আয়নায় সবাই নিজের প্রতিবিম্ব দেখে। সেও তা-ই দেখছে। কিন্তু যখন বেসিনের দিকে দুই পা এগোল, তখন আয়নায় তার প্রতিবিম্বটা ঠিক যেন আগের জায়গায় দাঁড়িয়ে রইল। একটুও নড়ল না। আয়নায় নিজের চোখের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে হিমেল। এক যুগ যেন পেরিয়ে গেল। তারপর হঠাৎ করেই আয়নার ওপাশের হিমেল তার দিকে দুই পা এগিয়ে এলো। শিউরে উঠল সে। আর সহ্য করতে পারল না । হুড়মুড় করে বাথরুমের দরজা খুলল সে। এক দৌড়ে ঘরে ঢুকে টিউবলাইট জ্বালিয়ে দিলো। বাথরুম থেকে বের হবার সময়ও আড় চোখে দেখতে পেলো, তার প্রতিবিম্বটা একই জায়গায় মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে আছে। একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার দিকে। অস্বাভাবিকতার সবেতো মাত্র শুরু। এরপর একের পর এক ঘটতে থাকে রক্ত হিম-করা বিস্ময়কর সব ঘটনা। হিমেলের পরিবারের অনেক অজানা তথ্য সে জানতে শুরু করে, আয়নার ওপাশের সত্ত্বাটার কাছ থেকে। এমন সব কথা যা তার পরিবারের আর কেউ জানে না। জানে না পৃথিবীর কোন মানুষ। তার মৃত বাবার জীবনের সব থেকে কালো অধ্যায়ও সে জানতে পারে, তার নিজেরই প্রতিবিম্বের কাছ থেকে। আয়নার ওপাশে হিমেলের চেহারায় বসবাস করে অন্য এক মানুষ। নাম তার আলেয়া। যার নিজের কোন দেহ নেই। বাস করে অন্য কারোর দেহে, তাও আবার আয়নার ওপাশে। কে সে? কী চায় সে হিমেলের কাছ থেকে?
মোহাম্মদ মারুফ হাসান একজন স্থপতি। তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থাপত্যবিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেছেন। বর্তমানে সৃজসশীল কাজ ও গৃহ পরিকল্পনা/নকশায় সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজে বন্ধুদের সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ উপভোগ করেন। ব্যাক্তি জীবনে অত্যন্ত বন্ধুবৎসল ও প্রিয়মুখ।