"নয়নে তার অচিনপুর" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ সিরাজের মন বেশ ভালাে মনে হচ্ছে। বুকের উপর থেকে একটা পাথর নেমে গেছে এমন বােধ হচ্ছে। সংসারে ঝামেলা থাকলে পুরুষ মানুষের জীবন নরক যন্ত্রণা ভােগ করতে থাকে। পরম ভক্তি ও শ্রদ্ধায় সে জিব্রানের সাথে ঘুরছে দুইদিন ধরে। মানুষটা একটু জটিল, তার মনে কী চলে সেটা বুঝার সাধ্য সিরাজের নেই। তবে মানুষটার সানিধ্যে শরীরের প্রতিটি রক্তকনাও মনে হয় ছােটাছুটি কমিয়ে ধীরে সুস্থে চলতে থাকে। জিব্রান চোখ বন্ধ করে বসে ছিলাে। সিরাজ তার পাশে বসা। কিছুক্ষন চুপচাপ থেকে বললাে, আজকে কি আমার বাসায় যাওয়া উচিৎ? জিব্রান চোখ মেলে খানিক হেসে বললাে, যাওয়া তাে যেতেই পারে, তবে সবর কা ফল মিঠা হােতা হ্যে। সিরাজ মাথা নাড়িয়ে বললো, এটাও ঠিক। তাহলে আরও দুই দিন পরই যাই। জিরান চোখ বন্ধ করে বললাে, উত্তম সিদ্ধান্ত। সিরাজও জিব্রানের মতাে ধ্যানে বসার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলাে। তখনই তার ফোনটা বেজে উঠলাে। তাদের বাড়িওয়ালা। লােকটার সাথে তেমন পরিচয় নেই। ওকালতি করে সম্ভবত। সিরাজ ফোন ধরে বললাে, - আসসালামুয়ালাইকুম আংকেল। কী খবর? - খবর ভালাে না বাবা। একটা বিপদে পড়ে ফোন দিছি। তুমি কি একটু আসতে পারাে? - তা পারবাে। তবে কি বেশি ইমার্জেন্সী? -হ্যাঁ। খুবই বিপদ। আমার মেয়েটারে তাে দেখছাে সম্ভবত। ও একটা মহৎ কাজে গেছিলাে। বাট, এখন কোন হদিস নাই। দুই দিন হয়ে গেল। আমারে তুমি হেল্প করাে। - কী বলেন আংকেল! আমি আসতেছি।