‘‘সৃজিত মুখার্জী-র নাম কী?"বইটির ফ্লাপের কথা ও বইটির সম্মন্ধে কিছু কথা: বই এর নাম কেন “সৃজিত মুখার্জীরনাম কী” তা বই না পড়লে বােঝা মুশকিল। তবুও খানিক বােঝাতে এই অংশ এসআই রাকিব ডাক্তার অনির্বাণ কে জিজ্ঞেস করলেন- আপনি কি কিছু খুজে পেলেন? - আমি তেমন কিছু পাইনি। তবে যা পেয়েছি তা ল্যাবে পাঠিয়ে পরিক্ষা। করে বলতে হবে। তাছাড়া, লাশের শরীরে অনেক বেশি পারফিউম মারা। এজন্য ডগ স্কোয়াড কোন কিছু খুযে বের করতে পারেনি। বাকিটা ময়নাতদন্ত করার পর বলা যাবে। - খুব দ্রুত জানাবেন আশা করি। বুঝতেই পারছেন, লাশের সাথে রাজনৈতিক ব্যাপার জড়িত। -হ্যা, অবশ্যই। ওহ হ্যা, লাশের। কপালে পেরেক দিয়ে একটা কাগজ। গাথা আছে। তাতে একটা লেখা দেখলাম। - কি লেখা? অনেকটা উত্তেজিত হয়ে জিজ্ঞেস করলেন এসআই রাকিব।। ডাক্তার অনির্বাণ মৃদু কণ্ঠে বললেন ‘সৃজিত মুখার্জী-র নাম কী?' বইয়ের প্রথম কপি নিলামে তােলা হয় ১২ই জানুয়ারি রাত ৮ টায়। নিলাম শেষ হয় ১৩ই জানুয়ারি রাত ৮ টায়। এই সুন্দর আয়ােজনটি করে অনলাইন বুকশপ (বইকথা)। এ বইটির ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছিল পাচশত টাকা। নিলামে অংশগ্রহণ করেছিল শত-শত পাঠক। সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়ে সর্বোচ্চ দাম দিয়ে (৩২ হাজার) ‘সৃজিত মুখার্জীর নাম কী’ বইয়ের প্রথম কপিটি কিনে নেয় ‘কেয়া আজাদ খান নামের এক বােন। | বইয়ের প্রতি মানুষের এসব ভালােবাসা দেখলে আজীবন লিখে যাবার সাহস পাই। বই মানুষের মনকে বিশুদ্ধ করে তােলে। বই নিয়ে কথা হােক, বই নিয়ে চলা হােক, বই হােক ভালােবাসার প্রথম স্থান। | বইটির এই সর্বোচ্চ মূল্য (৩২ হাজার) টাকা ব্যয় করা হয়েছে অসুস্থ এক অসহায় বােনের চিকিৎসার জন্য। | ‘কেয়া আজাদ খান আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেশের বাহিরে অবস্থান করেও আপনি আড়ালে অসহায় মানুষদের সাহায্য করছেন দিনের পর দিন। আপনার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালােবাসা। আপনি আপনার ছবি বইটিতে দিতে বারণ করেছিলেন। আমি তবুও দিলাম। একজন পরােপকারী ভালাে মনের মানুষকে সবাই দেখুক। আমায় ক্ষমা করবেন ।
পৃথিবীর কষ্ট বোঝার জন্য লেখকদের সংগ্রামের ভেতর দিয়ে যেতে হয়। আগুনে পুড়ে,পুড়ে পরিণত হয়েই একজন লেখক মানুষের অনুভূতিগুলোতে আটকে দিতে পারে শব্দের বুননে। দুঃখই লেখকের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণার জায়গা। লেখক আব্দুল্লাহ আল মামুনের কষ্টের সাথে সুসম্পর্ক। জীবনের চোরা গলিতে ছুটতে ছুটতে কালো আর আলোকে চেনা সহজ হয়ে উঠেছে তার জন্য। নাটক, সিনেমার চিত্রনাট্য , গান, কবিতা, গল্প, উপন্যাস, সমসাময়িক ও গ্লোবাল বিষয় নিয়ে কলাম লিখে আর বাংলাদেশ টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে দীর্ঘ সময় সহকারী, প্রধান সহকারী পরিচালক ও এসোসিয়েট ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করে এর মাঝেই পরিচিত হয়ে উঠেছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। বর্তমানে তিনি পিয়ানো কোম্পানির ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর হিসেবে আছেন। পাশাপাশি স্টার্টআপ বিজনেস নিয়ে তার ভাবনা অতুলনীয়। একজন তরুণ উদ্যোক্তা। লেখক পরিচিতি লেখকের ভাষ্যমতে এমন — ' ছোট ছোট শব্দ জোড়াতালি দিয়ে বিক্রি করে লাখপতি হয়েছি। খুব দ্রুত যেন কোটিতে পা দিতে পারি সেই দোয়া রাখবেন। ' ' আমি শব্দ বিক্রি করে খাই, মানুষ না। '