যাঁরা প্রথম মার্কসবাদ-লেনিনবাদ অধ্যয়ন শুরু ছেন তাঁদের জন্য রাজনৈতিক জ্ঞানের মূলকথা নিয়ে ইটি লেখা। | আন্তর্জাতিক জীবন অথবা অর্থনীতি ও নৈতিকতা, বিজ্ঞানের সদ্ব্যবহার ও সংস্কৃতির দায়িত্ব কিংবা শিক্ষাদীক্ষা ও ভাবাদর্শ, অথবা সমাজের ভূতভবিষ্যৎ বর্তমান—যা নিয়েই কথা হােক, আমরা এসে পড়ি রাজনীতির সমস্যায়। কিন্তু রাজনীতি কী জিনিস? লেনিন বলেছেন, রাজনীতি হলাে শ্রেণিসমূহের ভেতরকার সম্পর্ক, ‘এ হলাে রাষ্ট্রের ব্যাপারে অংশ গ্রহণ, রাষ্ট্র চালনা, রাষ্ট্রের ক্রিয়াকলাপের রূপ, লক্ষ্য, বিষয়বস্তু নির্ধারণ।” লেনিন শিখিয়ে গেছেন, রাজনীতি হওয়া উচিত শ্রমিক শ্রেণির, সমগ্র জনগণের কাজ। | সমাজতান্ত্রিক সমাজে সেটা তাই হয়ে দাঁড়িয়েছে।। কিন্তু রাজনীতি নিয়ে সচেতন বিচার করতে হলে, সামাজিক ঘটনার জটিল বিজড়নের মধ্যে পথনির্ধারণ করতে হলে, নবজীবন নির্মাণের সক্রিয় অংশী হতে হলে প্রয়ােজন সমাজবিকাশের নিয়মগুলাে সম্পর্কে, বিশ্বঐতিহাসিক প্রক্রিয়ার প্রধান প্রবণতাগুলাে সম্পর্কে জ্ঞান ক্রমাগত প্রসারিত ও সুগভীর করে তােলা। | সংক্ষেপিত আকারে সমাজ ও তার বিকাশের নিয়মগুলাে সম্পর্কে মূল বৈজ্ঞানিক ধারণা দেওয়া হয়েছে বইটিতে, দেখানাে হয়েছে সমাজজীবনে লােকের ক্রিয়াকলাপ নির্ধারিত হয় কী দিয়ে।