মানুষকে কখনও কোনো গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ করা যায় না। স্বভাবে, আচরণে, চেহারায় প্রতিটি মানুষ স্রষ্টার এক বিস্ময়কর অদ্ভুত ও সুন্দর সৃষ্টি। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে মিল খুঁজে পাওয়া যায়। মানুষের এই কমন বিষয়গুলোর প্রতি আগ্রহ খুব কম দেখা যায়। সব সময় ব্যতিক্রম খোঁজে মানুষ। এই গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র বা নায়িকা তৃষ্ণা অন্য পাঁচটি মেয়ে থেকে সম্পূর্ণ আলাদা, একেবারেই ব্যতিক্রম বলা যায়। অন্যের উপকারে ঝাঁপিয়ে পড়ে সে। সমাজের শ্যেন-দৃষ্টিকে ভয় পাওয়ার মেয়ে সে নয়। মানুষের কল্যাণে রাস্তা মেরামতের মতো কাজও অনায়াসে করতে পারে তৃষ্ণা। কেউ কোথাও নির্যাতিত হলে প্রতিবাদ করতে জানে সে। কে কী বলল, কী হবে না হবে; সে সব চিন্তা না করেই নির্যাতিতের পাশে দাঁড়ায় সে। মেয়ে হয়ে হাত গুটিয়ে বসে থাকা তার স্বভাবের বাইরে। সমাজে তথাকথিত পুরুষের প্রতি সে কঠোর। জীবনকে সহজভাবে মেনে নেওয়ায়ই তার স্বভাব। হবু স্বামী পছন্দের বেলায়ও তৃষ্ণা আলাদা, একেবারেই অন্যরকম। সাধারণ মেয়েদের মতো সে স্বামীর অর্থবিত্ত চায় না, প্রভাব-প্রতিপত্তির প্রতিও তার আগ্রহ নেই। তার আগ্রহ তার স্বামীর থাকবে নিটোল সুন্দর দুটি পা অর্থাৎ সুদৃশ্য নিঃরোগ চরণ যুগল। এই উপন্যাসের ব্যতিক্রম একটি কাহিনীকে প্রাণবন্ত করে তুলেছেন লেখিকা ডা. ফাহমিদা মাহবুবা। তার প্রকাশিত প্রথম উপন্যাসের মাধ্যমে পাঠক তাকে আলাদাভাবে চিনে নিতে পারবেন বলে মনে হয়। প্রকাশক