‘‘আঁধারে ঢাকা ভোর"বইটির ফ্লাপের কথা ও মুখবন্ধ : * “আঁধারে ঢাকা ভাের” গ্রন্থের লেখকের লেখনী শক্তির দক্ষতা দেখে আমি শুধু। অভিভূত নই বরঞ্চ বর্তমান গ্রন্থের। তথ্য-উপাত্তের নিখুঁত নিরূপণের মুন্সিয়ানা দেখে রীতিমতাে আশ্চর্যান্বিত হয়েছি! প্রতি। 'পরিচ্ছেদে লেখক পাঠকের কাছে যে বার্তা। দিয়েছেন তা পাঠক শুধুমাত্র লেখকের । উপস্থাপন ও সহজ শব্দ প্রয়ােগের দরুন। অতি সহজেই হৃদয়ঙ্গম করতে পারবেন।। পরিশেষে, আশাকরি গ্রন্থটি ব্যাপক সুনাম। কুড়াতে সক্ষম হবে। লেখক-জীবনের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনায় আল্লাহ হাফেজ।। সমাজে পচন ধরেছে। পচনটা আগায় ধরলে হয়তাে ততটা ক্ষতি হতাে না, যতটা ক্ষতি হয়েছে মূলে ধরাতে। ইসলামকে যুগে যুগে কলুষিত করতে আগমন ঘটেছে অনেক মানুষ রূপী নরপশুর। এদের চালাকি ধরা শুধু মুশকিল নয়, না মুমকিন। কারণ এরা ইসলামের ক্ষতি করে ইসলামের ছায়াতলে সুন্নতি লেবাসে। এদের দেখে চিনা বড় কঠিন। অথচ এরা ইসলামের ক্ষতি করে যাচ্ছে ইসলামকে সমানে ধরে। এদের সুরত খুব ভয়ংকর। কখনও বন্ধু সাজবে কখনও প্রিয়জন। সম্পর্কটা শুরু এভাবে, “আমি কি আপনার বন্ধু হতে পারি? কখনও কখনও এদের মুখে ইসলামের সুমিষ্ট বুলি। তবে এদের দিল পূর্ণ নেফাকে। এরা আলাের সন্ধান দিতে এসে নিয়ে যাবে আঁধারে, জীবন ভাসিয়ে দিবে ধ্বংসের সাগরে। সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারলেই যেন কার্যসিদ্ধি ঘটে। তাই পরকীয়া নামক জঘন্য কাজে লিপ্ত করে সমাজে সৃষ্টি করেছে এক ভয়ংকর পরিস্থিতি। সমকালীন এমন দশটি বিষয় ও একটি পরিশিষ্ট নিয়ে এই ক্ষুদ্র আয়ােজন। যা শুধু আমাদের ব্যক্তি জীবনকে ধ্বংস করে না। ধ্বংস করে সমাজ জীবনকেও। চোখ মেলে তাকালেই যেন এমন সব ভয়ংকর জিনিসগুলাে আমাদের সামনে ভেসে ওঠে নতুন আঙ্গিকে নতুন রূপে। হারাম রিলেশন, ছেলে মেয়ে বন্ধুত্ব, ডিভাের্স, পরকীয়া এসব জেনে মিশে আছে। আমাদের জীবনের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে। কেমন ছিলাে আমাদের প্রিয় রাসুল (সঃ) তাঁর অনুসারী সাহাবী আর তাবেঈনদের জীবনী! আমাদের বর্তমান জীবন আর তাদের সমাজ জীবনের ঘটনাবলির আলােকে এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। আল্লাহ আমাদের সকলকে কথাগুলাে বুঝার, মানার তৌফিক দিক। আর বেঁচে থাকার শক্তি দিক এমন সব অসার কাজ থেকে। তৌফিক দিক আত্মীয়তার সম্পর্ক দৃঢ় করে পরকীয়া মুক্ত একটা হালাল জীবন উপভােগ করার। মজলুম আদিব (রাসেল সালেহ)