রফিক ও নীলার বিয়ে হয়েছে বারো বছর। রফিক বরাবরই নিরীহ গোবেচারা ধরনের স্বামী। মাঝেমধ্যে তার মধ্যে সূক্ষ্ম বুদ্ধি পরিলক্ষিত হয়, কিন্তু নীলা তাতে জল ঢেলে দেয়। আবার কখনো কখনো রফিকের ক্ষুরধার বুদ্ধির কাছে নীলা পরাস্ত হয়। হাসি, কান্নায় তাদের জীবন চলতে থাকে। তাদের একমাত্র ছেলে ইহান কখনো কখনো তাদের গল্পের অংশ হয়ে দ্বিগুণ হাস্যরস তৈরি করে। রফিকের জীবনে পাড়া প্রতিবেশীর অনেক প্রভাব লক্ষ্ করা যায়। নিকট প্রতিবেশী সালাম ভাই এবং ভাবির সঙ্গে রফিকের আছে অম্ল-মধুর সম্পর্ক। রফিকের মা প্রায়ই রফিকের ছোটোবেলা নিয়ে তার স্মৃতির ঝাপি খুলে বসে। মাকে থামাতে গিয়ে ব্যর্থ রফিক ভাবে পৃথিবী দ্বিখণ্ডিত হউক তার ভেতর সে ঢুকে পড়ুক। রফিকের বাবা রফিকের যন্ত্রণায় অস্থির থাকে। ছেলেকে পথে আনার জন্য তিনি করেন নানাবিধ চেষ্টা। সেই চেষ্টা কতটুকু ফলপ্রসু হয়েছে তা একমাত্র তিনিই বলতে পারবেন। কখনো কখনো শ্বশুরের নির্ভরযোগ্য সঙ্গী হয় রফিক। শ্যালকের সঙ্গে শ্যালকের প্রেমিকার বাসায় যাওয়ার অভিজ্ঞতাও রফিকের আছে। শ্যালিকার বিয়ের বায়োডাটাও রফিককে লিখতে হয়। এত কিছুর পরেও রফিকের কপালে প্রশংসা জুটে না। তার বদলে জুটে বিড়ম্বনা। যে কোনো ব্যাপারে রফিকের প্রবল আগ্রহ। অন্যদিকে নীলাও জানে রফিককে কীভাবে শায়েস্তা করতে হয়। তাদের জীবন নানা ঘটনায়, রটনায় ভরপুর। সেই সব ঘটনা নিয়েই গল্প গুচ্ছ ‘রফিক নীলা’। রম্য, আবেগ, ভালোবাসা, রহস্য সবকিছু মিলিয়ে ‘রফিক নীলা’ এক অনবদ্য গল্পগুচ্ছের নাম।