”নিভৃত চাঁদের গোধূলি গল্প” বইয়ের প্রথম ফ্ল্যাপ এর লেখা: পশ্চিম আকাশে মায়াময় গােধূলি বেলায় যখন কখনাে কখনাে আবীর রংয়ে মাখামাখি হয়ে আকাশ জুড়ে কুসুম ফুটিয়ে মেঘদলের খেলা চলে, সূর্যকিরনের অস্তগামিতা যখন ক্ষনে ক্ষনে আকাশের এক প্রান্তে নব নব রংয়ের প্রগাঢ় চপলতা সৃষ্টি করে, বিমােহিত চপল হৃদয়ের সৌন্দর্য পিপাসাকে তৃপ্ত করে করে জগত জুড়ে উদার সুরে বহমান আনন্দ গানেরই ঝংকার তােলে, ঠিক তখনই হয়র্কে আকাশের পূর্ব প্রান্তে আধখানা অথবা এক চতুর্থাংশ চাঁদও যেন আবির্ভূত হয়। গােধূলি ফেলার নিস্প্রভ চাঁদ। নিভৃত চাঁদ। উদার সুরে বাজতে থাকা আনন্দগানের রঙ্গিন বিহবলতার সাথে সে নিভৃত চাঁদেরও বুঝি নীরব কথামালা মিশে থাকে। গল্প জড়িয়ে থাকে যেন। আমাদের জীবনের বা জগতের দুটি পার্শ্বের মতাে করেই। দৃষ্টি আর মনােযােগ নিবদ্ধ চেনা জগতের আলােকময়তা আর অপর পাশের অন্ধকারাচ্ছন্নতার। মাঝেও কিছুটা অধ্যায় যেন থেকে যায় সাদা মাটা। মনোেযােগ বা কেন্দ্রিভূত দৃষ্টির খানিকটা বাইরেই। সেখানে গােধূলি বেলায় আকাশের এক প্রান্তে নীরব অনুজ্জল চাঁদ যেন তার গল্পও বলতে চায়। সে গল্প নিভৃত চাঁদের গােধুলি গল্প। সে গল্প হয়ত পাঠকের মনের নিভৃতলােকেও গােধূলির আবছায়ায় চেনা নির্যাস আর অচেনা রােমন্থনের সম্মিলনে খানিক কল্প-বাস্তবতা, খানিকটা মায়াভাের অথবা খানিকটা শানিত চিন্তার মৃদু হলেও আলােড়ন তােলে। গড়ে, গােধূলি বেলার নিভৃত চাঁদের সাথে পাঠকের নিভৃতলােকের সখ্য ।