কাহিনী সংক্ষেপ রিমঝিম আর তার বাবা জামশেদ চৌধুরীকে নিয়ে এই কাহিনী আবর্তিত। রিমঝিম অল্প বয়সে তার মা’কে হারিয়ে একমাত্র ছোট বোন বর্ষা এবং তার বাবাকে ঘিরে জীবনের বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে থাকে। তার চলার পথে সাথী হয় বন্ধু রোহান। রিমঝিম বুঝতে পারে সুখে-দু:খে পাশে থেকে রোহানের বাড়ানো হাত শুধু বন্ধুত্বের দেড়গোড়ায় দাঁড়িয়ে নেই। সেই হাত আরো কিছু বেশি আস্থা আর ভরসার হাত হয়ে তার হাত ধরতে চায়। রোহানের এই নীরব আকুতি রিমঝিম বুঝতে পারলেও সে তাকে নিজেকে বিলীন করতে পারে না। বরং তার ভালোবাসার গতিপথ ধাবিত হয়ে যেতে থাকে কায়সারের দিকে। হুট করে জামশেদ চৌধুরী মারা গেলে আবারো একটা কঠিন সত্য রিমঝিমের সামনে এসে দাঁড়ায়। সে জানতে পারে ছোটবেলা থেকে সে যার অকৃত্রিম পিতৃস্নেহে লালিত পালিত, সে জামশেদ চৌধুরী তার বাবা নয়। তাহলে রিমঝিম কে? কি তার পরিচয়? শুরু হয় তাকে নিয়ে নানা কুটিলতা, জটিলতা। কি করবে এখন রিমঝিম? সে কি পারবে এই কঠিন সত্যের মুখোমুখি হয়ে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে? বর্ষা বিষয়টা কিভাবে নিবে? জীবনের এই কঠিন সংকটে কায়সার কি তার পাশে থাকবে? রোহানের ভূমিকা কি হবে তখন? সব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে পড়ুন “আঁধার পেরিয়ে”।
শামীমা নাসরিন। জন্ম ১লা সেপ্টেম্বর ১৯৬৪ চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানার পূর্ব গোমদণ্ডীর বিখ্যাত এবং বনেদি কাজী আব্দুল হাকিমের পরিবারে। ব্যাংক কর্মকর্তা বাবা এবং সাহিত্যানুরাগী মায়ের সন্তান শামীমা নাসরিন চার ভাই দুই বোনের সর্বকনিষ্ঠা। পাঠের বিষয়বস্তু অর্থনীতি হলেও মাতৃসূত্রে পাওয়া সাহিত্যের প্রতি গভীর আকর্ষণ তাকে ছোটবেলা থেকে তাড়িয়ে বেড়িয়েছে। এই তাড়না থেকেই বিভিন্ন সময় স্কুল এবং কলেজের বিভিন্ন প্রকাশনায় তিনি লেখালেখি করে গেছেন। পেশায় গৃহিণী শামীমা নাসরিন সাংসারিক দায়বদ্ধতায় বেশ কিছুদিন লেখালেখির জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকলেও জীবনের বিশেষ বিশেষ মুহূর্তগুলি স্মরণীয় করে রাখার তাগিদে আবার কলম ধরলেন জলতরঙ্গ উপন্যাসটির মাধ্যমে। এই লেখাটির মাধ্যমে তিনি একটি বৃহত্তর পরিবারের উত্থান-পতনের পাশাপাশি অখণ্ড ভারতবর্ষের ইতিহাস এবং আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসও তুলে ধরেছেন।