পৃথিবীর ইতিহাসে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় যারা নেতৃত্ব দিয়ে অমর হয়ে আছেন তাদের মধ্যে ইতালির জিউসেফ গ্যারিবল্ডি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ওয়াশিংটন, ভারতের মহাত্মা গান্ধী, ইন্দোনেশিয়ার সুকর্ন প্রমুখের কাতারে আরেক জন হলেন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ভাষাভিত্তিক অসাম্প্রদায়িক স্বাধীনরাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা। বাঙালিরা বিদ্রোহী, তারা যেমন সেনদের সংস্কৃত ভাষা গ্রহণ করেনি, তেমনি গ্রহণ করেনি উর্দু, পারসি কিংবা ইংরেজিকেও। জাতি হিসাবে আত্মপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে জাতির মহান নেতা শেরে বাংলা আবুল কাসেম ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ঐতিহাসিক ভ‚মিকায় পূর্ণতা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। ‘বাংলাদেশ’ নামে নব জাতিরাষ্ট্রে এ ভ‚খÐের অধিবাসী সকল ধর্মের অনুসারীদের সমান মর্যাদার অধিকারী করে একটি জাতি পরিচয়ে পদ্মা-মেঘনা-যমুনা ঠিকানায় পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। বঙ্গবন্ধুকে আখ্যা দেওয়া হয় ‘পোয়েট অফ পলিটিক্স’। নিউজ উইক শেখ মুজিব জর্জ ওয়াশিংটন, গান্ধী এবং দ্যা ভেলেরার থেকেও মহান নেতা। ব্রিটিশ লর্ড ফেন্যার ব্রোকওয়ে ..আজও বাঙালি দেখলে বলে বেড়ান, ‘তুমি বাংলার লোক? আমি কিন্তু তোমাদের জয় বাংলা দেখেছি। শেখ মুজিব দেখেছি। জানো এশিয়ায় তোমাদের শেখ মুজিবের মতো সিংহ হৃদয়বান নেতার জন্ম হবে না বহুকাল।’ জাপানি মুক্তি ফুকিউরা তোমরা আমারই দেওয়া ট্যাংক দিয়ে আমার বন্ধু মুজিবকে হত্যা করেছ! আমি নিজেই নিজকে অভিশাপ দিচ্ছি। প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত
Jaynal Hossain- একজন কৃষিবিদ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। কুমিল্লার মুরাদনগরের কুড়েরপাড় গ্রামে ১৯৫৩ সালের ১১ই আগস্ট তাঁর জন্ম। পিতা তালেব হোসেন, মাতা মাফেজা খাতুন। বাঙ্গরা উমালোচন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৯ সালে এসএসসি, শ্রীকাইল কলেজ থেকে ১৯৭২ সালে এইচএসসি এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে ১৯৭৭ সালে কৃষি অনুষদ থেকে ডিগ্রি নিয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন। চাকরিকালে থাইল্যান্ডের মহিডোল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অভ নিউট্রিশন থেকে পুষ্টির ওপর উচ্চতর প্রশিক্ষণ লাভ করেন। তিনি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ এর জীবন সদস্য এবং বাংলাদেশস্থ জাতিসংঘ সমিতির সদস্য। তাঁর রচিত বই: মুর্শিদাবাদ থেকে মধুপুর (২০০০), প্রমিত দৃষ্টিপাত (২০০১), সমুদ্রনন্দিনী কুতুবদিয়া: ইতিহাস ও বর্তমান পরিপ্রেক্ষিত (২০০২), ঠাকুর শম্ভুচাঁদ (২০০৩), শৈলসমুদ্র সান্নিধ্যে (২০০৩), মেঘের মায়াবী চোখ (২০০৭), রাজা ভাওয়াল সন্ন্যাস ও ভাওয়াল পরগনা (২০০৯), পুণ্যের ঘরে শূন্য দিয়ে: ব্যতিক্রমী আট (২০১২), ধীরাজ ভট্টাচার্য ও তাঁর প্রেম উপাখ্যান: মাথিনের কূপ (২০১২), মানবপুত্র গৌতম: ধর্ম ও জীবনাচার (২০১৩), উইলে চার টাকা দুই আনা: সম্রাট আওরঙ্গজেবের ভিতর-বাহির (২০১৩), প্রাঙ্গণে মোর: টোকা ডায়েরির পাতা থেকে (২০১৪)