#ফ্ল্যাপের_কিছু_অংশ তিনটি আলাদা আলাদা প্রধান চরিত্র-মাইশা, শারিকা এবং ইফতি। যেখানে মাইশার কলেজে লেখাপড়ার করে নিজের জীবনকে রঙিন করে সাজানোর কথা সেখানে সে ছোট্ট একটি বাচ্চার মা, তাও পিতৃ-পরিচয়হীন। যখন ছোট্ট মেয়েটি বড় হবে, যখন স্কুল থেকে এসে বলবে,- "মা সবাই পাপার কাঁধে চড়ে স্কুলে আসে, আমার পাপা কোথায়? আমাকে পাপার কাছে নিয়ে যাও।" কি উওর দিবে মাইশা? আর শারিকা দুই দুবার আমাদের সমাজের কিছু মানুষরূপী জানোয়ার দ্বারা ধর্ষনের স্বীকার, যেখানে তার সূচনা হয় সে যখন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। যখন রক্তে ভিজে গিয়েছিলো তার পা, তখনকার একেকটি চিৎকার যেনো তার ছিলো সে মৃত্যুযন্ত্রণা থেকে বাঁচার আকুতি। তার এই আর্তনাদ যেকোনো পশুর অন্তর কেও বশ করে নিতো কিন্তু পারেনি সেদিন তার আপন মানুষদের হৃদয় কে ভেদ করতে। অন্যদিকে টানা দুবার দেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীটা আজ দেশের বাইরে ফুসফুস ক্যান্সার এর সাথে লড়াই করছে প্রতিটা মূহুর্ত, যার জন্য লেখকের লেখা। এত্তটা কষ্ট নিয়ে একটা মানুষ এত হাসিখুশি কেমনে থাকতে পারে সেটা ইফতি কে না দেখলে কখনো বুঝা যেতো না। হয়তো ইফতি বলেই সম্ভব এটা। ইফতিকে যে দেশে আসতেই হবে আবার সুস্থ হয়ে, অন্তত এই বই টা সংগ্রহ তো সে স্বশরীরে ই এসে করবে। বইঃ অসমাপ্ত গন্তব্য লেখকঃ শাহরিয়ার আকরাম অমি প্রকাশনীঃ মুক্ত আলো প্রকাশনী মুদ্রিত মূল্যঃ ২৩০৳ #ফ্ল্যাপের_কিছু_অংশ তিনটি আলাদা আলাদা প্রধান চরিত্র-মাইশা, শারিকা এবং ইফতি। যেখানে মাইশার কলেজে লেখাপড়ার করে নিজের জীবনকে রঙিন করে সাজানোর কথা সেখানে সে ছোট্ট একটি বাচ্চার মা, তাও পিতৃ-পরিচয়হীন। যখন ছোট্ট মেয়েটি বড় হবে, যখন স্কুল থেকে এসে বলবে,- "মা সবাই পাপার কাঁধে চড়ে স্কুলে আসে, আমার পাপা কোথায়? আমাকে পাপার কাছে নিয়ে যাও।" কি উওর দিবে মাইশা? আর শারিকা দুই দুবার আমাদের সমাজের কিছু মানুষরূপী জানোয়ার দ্বারা ধর্ষনের স্বীকার, যেখানে তার সূচনা হয় সে যখন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। যখন রক্তে ভিজে গিয়েছিলো তার পা, তখনকার একেকটি চিৎকার যেনো তার ছিলো সে মৃত্যুযন্ত্রণা থেকে বাঁচার আকুতি। তার এই আর্তনাদ যেকোনো পশুর অন্তর কেও বশ করে নিতো কিন্তু পারেনি সেদিন তার আপন মানুষদের হৃদয় কে ভেদ করতে। অন্যদিকে টানা দুবার দেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীটা আজ দেশের বাইরে ফুসফুস ক্যান্সার এর সাথে লড়াই করছে প্রতিটা মূহুর্ত, যার জন্য লেখকের লেখা। এত্তটা কষ্ট নিয়ে একটা মানুষ এত হাসিখুশি কেমনে থাকতে পারে সেটা ইফতি কে না দেখলে কখনো বুঝা যেতো না। হয়তো ইফতি বলেই সম্ভব এটা। ইফতিকে যে দেশে আসতেই হবে আবার সুস্থ হয়ে, অন্তত এই বই টা সংগ্রহ তো সে স্বশরীরে ই এসে করবে।
শাহরিয়ার আকরাম অমি এর জন্ম ২০০০ সালের ৫ই এপ্রিল কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার অন্তর্গত চরকুর্শা নামক গ্রামে।জন্মগত ঠিকানা চরকুর্শা গ্রামে হলেও তার বেড়ে উঠা পাশের গ্রাম মির্জাপুরে। পরিবারের ছোট ছেলে এবং প্রথম ছেলে সন্তান হওয়ায় দাদার খুব আদরের নাতি ছিলেন।সবাই আদর করে ডাকতো বাবু।যদিও এই নামেই তার এলাকায় সে পরিচিত।লেখকের বাবা সরকারি কৃষি কর্মকর্তা এবং মাতা একটি মাদরাসার কম্পিউটার শিক্ষিকা।পরিবারে বাবা মা ছাড়াও তার একজন বড় বোন আছে।সে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করে এখন ঐ বিষয়ের উপর গবেষনা করছেন। প্রভাতী কিন্ডারগার্টেন এন্ড স্কুল থেকে প্রাইমারী লেভেল শেষ করেন কৃতিত্বের সাথে,তারপর মাধ্যমিক শেষ করেন সেখানকার ই স্বনামধন্য স্কুল শহীদ আলাউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে।প্রথম শ্রেনী থেকে দশম শ্রেনী অবদি সে স্কুলের ১ম ছাত্র ছিলেন একটানা।শিক্ষকদের পছন্দের তালিকায় তিনি ছিলেন অন্যতম।এসএসসি পাশ করার পর তিনি ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে জায়গা করে নেয় ঢাকার অন্যতম স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এ।জেএসসি,এসএসসি এবং এইচএসসি এই তিন পাবলিক পরীক্ষায় ই তিনি জিপি৫ নিয়ে কৃতীত্ব দেখা্ন।সেখান থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর দেশের বাইরে পড়াশোনার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেও শেষ অবদি পারিবারিক কিছু সমস্যার কারনে সেটা আর হয়ে উঠেনি।তারপর তিনি এখন ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটী অব বাংলাদেশ,আইইউবি তে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অধ্যয়নরত। সাহিত্যে উনার অভিষেক ঘটেছে ‘অসমাপ্ত গন্তব্য’(২০২১) নামক এই গল্পগ্রন্থ প্রকাশের মধ্য দিয়ে।এর আগে তিনি বিভিন্ন পত্রিকা বা ম্যাগাজিনে ছোটগল্প লিখালিখি করতেন।