মারা গিয়েছে সেইন্ট মেরি গার্লস স্কুল ফর একাডেমীর লিটারেচার ক্লাবের সভাপতি ইতসুমি শিরাইশি। কিন্তু তার মৃত্যু নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। গুজব উঠেছে ছাদের চত্বর থেকে পড়ে গিয়ে মারা যায়নি ইতসুমি শিরাইশি। অথবা আত্নহত্যাও করেনি সে। বরং তাকে খুন করা হয়েছে। আর খুনটা আর কেউ নয়, করেছে তারই নিজ হাতে গড়া লিটারেচার ক্লাবের কোন একজন সদস্য। ইতসুমির মৃত্যুর এক সপ্তাহ পরেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। কোন সাড়া শব্দ নেই তার পরিবার থেকেও। অবশেষে, ইতসুমির মৃত্যু নিয়ে নিজ নিজ বক্তব্য পেশ করতে বসল লিটারেচার ক্লাবের সকল সদস্য। রশোমন স্টাইলে ধীরে ধীরে উদঘাটিত হতে লাগল নানান অজানা কাহিনী। সামনে আসতে লাগল মানুষের মনের অন্ধকার জগতের নানা অলিগলি। বের হতে লাগল একের পর এক অবিশ্বাস্য ঘটনা। লোভ, ঘৃণা, হতাশা, প্রতিশোধ আর কামনার একটি দুর্দান্ত মেলবন্ধন ঘটেছে সবার নিজ নিজ কাহিনীতে। তবে কি "রশোমনের" মত শেষ পর্যন্ত মৃত ইতসুমিকে তার মৃত্যুর ঘটনা বর্ণনা করা লাগবে? নাকি সদস্যদের জবানীতেই বেরিয়ে আসবে খুনির পরিচয়। প্রিয় পাঠক, যখনই আপনি ভেবে নিবেন 'গল্প বুঝে ফেলেছি', ঠিক তখনই আপনাকে ধাক্কা দিবে পরের পাতা। শেষ পাতা পড়ার আগ পর্যন্ত থাকবে চমক!