বর্তমান বিশ্বের অবস্থা সকরুণ। ফিতনার ছড়াছড়ি বিশ্বব্যাপী। ক্ষনিকের এই দুনিয়া যতই ডিজিটালাইজ হচ্ছে নতুন নতুন ফিতনা আমাদের জীবনের সাথে জুড়ে যাচ্ছে। আমাবস্যা রাতের মতো চারদিক থেকে ফিতনা আমাদেরকে গ্রাস করে নিচ্ছে। ফিতনাময় দুনিয়ায় গা ভাসানো থেকে নিজেকে দূরে রাখা বেশ কঠিন। প্রিয় রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চৌদ্দশত বছর পূর্বেই ফিতনা সর্ম্পকে সতর্ক করে বলেছেন, "আধাঁর রাতের মতো ফিতনাহ আসার পূর্বেই তোমরা সৎ আমলের দিকে ধাবিত হও। সে সময় সকালে একজন মুমিন হলে বিকালে কাফির হয়ে যাবে। বিকেলে মুমিন হলে সকালে কাফির হয়ে যাবে। দুনিয়ার সামগ্রীর বিনিময়ে সে তার দ্বীনকে বিক্রি করে দিবে। " বর্তমান দুনিয়ায় হালাল ভাবে বেঁচে থাকা অনেক কঠিন। ঠিক যেন হাতে জ্বলন্ত অঙ্গার ধারণ করার ন্যায়। অধিকাংশ মানুষ দুনিয়ার লোভ, দুনিয়ার যশ,দুনিয়ার খ্যাতি, দুনিয়ার ক্ষমতাকে বাদ দিতে পারে না। কিন্তু আল্লাহর পথে আসতে হলে তো দুনিয়ার কিছু জৌলুস,যশ অথবা খ্যাতি অবশ্যই পায়ে ঠেলতে হবে। এবং তারাই তা পারে যাদের আল্লাহ সুবাহানু ওয়া তা'য়ালা মজবুত অন্তর দিয়েছেন,যাদের তিনি রহমতের চাদরে ঘিরে নিয়েছেন। দুনিয়া জীবনের পাওয়া না পাওয়া নিয়ে সুগভীর একটি উপলব্ধি আছে ইবনু আতা’আল্লাহ আল ইসকান্দারি রাহিমাহুল্লাহর। তিনি বলেছেন, “সে কী পেলো যে আল্লাহকে হারালো? সে কী হারালো যে আল্লাহকে পেলো?” আমরা এই দুনিয়ায় ক্ষনিকের অতিথি।আমাদের একদিন এই দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে হবে।এইটা চিরন্তন সত্য। কিন্তু আমাদের বিদায়টা যেন এমন না হয়,আমরা দুনিয়ায় এমন কোনো জিনিস গ্রহণ করছি যেটা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার অসন্তুষ্টির কারণ। উপরন্তু আমরা এমন কিছু ত্যাগ করছি যা আমাদের কাছে সহজে ধরা দিচ্ছে কিন্তু আমরা কেবল আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার সন্তুষ্টির জন্য সেটা ছুঁড়ে ফেলেছি।
সৈয়দ মোঃ আবু দাউদ। একজন স্বপ্নচারী বিশ্বাসী তরুণ। নিজের মতো করে সাজানো মনন ও মনছবি নিয়েই তার জগৎ। জন্ম ১৯৯৭ সালে। বাবা সাইয়েদ মোহাম্মদ ইলিয়াছ। মা নাছিমা আকতার। বড় হয়েছেন চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার দক্ষিণ রাঙ্গামাটিয়া গ্রামে। ফটিকছড়ি করোনেশন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং ফটিকছড়ি সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন। বর্তমানে চট্টগ্রাম ইন্ডেপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে আইন অনুষদে অধ্যয়নরত আছেন। ভালোবাসেন ইসলাম নিয়ে পড়াশুনা করতে। আর অর্জিত জ্ঞানটুকু সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে। বর্তমানে মানুষের জীবনবোধ ও জীবনশৈলী নিয়ে পড়ছেন এবং লিখছেন। সবুজকুঁড়িদের সাথে নিয়ে এক সবুজ বিপ্লবের স্বপ্ন দেখেন। সৈয়দ মোহাম্মদ আবু দাউদ লেখালেখির জগতে পদার্পণ করেন 'স্রোতের বিপরীতে' লিখে। এছাড়াও ২০২১ সালের একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয় লেখকের দ্বিতীয় বই 'চিন্তা ফারাক'।