আঞ্চলিক ভাষায় জ্ঞানচর্চা উত্তর-আধুনিক আন্দোলন এবং বহু সংস্কৃতিবাদের অন্যতম দাবি। ইদানীং গবেষণা ক্ষেত্রেও গবেষকদের মধ্যে মাতৃভাষায় গবেষণা করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অথচ গবেষণা করতে গেলে গবেষণা পদ্ধতি সম্পর্কে ব্যাপক ধারণা প্রয়োজন। যা একজন নবীন গবেষকের মধ্যে থাকে না। সেই ভাবনা থেকেই বাংলা ভাষায় এই ধরনের সামাজিক গবেষণা পদ্ধতি বিষয়ের ওপর বই লেখার প্রয়োজনোয়তা বোধ হলো। যা স্নাতক স্তর থেকেই ছাত্রদের মধ্যে গবেষণা সম্পর্কে একটি সাধারণ জ্ঞান তৈরি হবে। আমাদের অল্প সময়ের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতায় যতটা অনুভব করেছি, সামাজিক গবেষণা পদ্ধতির বিষয়টি সাধারণ ছাত্রছাত্রী, এমনকি কিছু শিক্ষকের কাছে ভীতির কারণ। যদিও এই বিষয়টি গবেষকদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরে (CC-Core Course, SEC-Skill Enhancement Course), স্নাতকোত্তর এবং UGC-NET / SET এর পাঠ্যসূচিতে আলাদা একটি ইউনিট যুক্ত হওয়ায় সামাজিক গবেষণার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এইরকম একটি বিষয়ের উপর ইংরেজি ভাষায় তথ্যভা-ার বহুল, কিন্তু বাংলায় সেই অর্থে তথ্য ও বিষয়বস্তু সচারচর নয়। অথবা থাকলেও তা পাঠ্যসূচিভিত্তিক নয়। ঠিক এখানেই আমরা চেষ্টা করেছি সিলেবাসভিত্তিক সহজভাবে এক জায়গায় একটি বই উপস্থাপন করতে। গ্রন্থটি লেখার জন্য বিভিন্ন গ্রন্থ ও গ্রন্থাগারের সাহায্য নিয়েছি। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, প্রন্থাগারের সমস্ত আধিকারিক ও কর্মীবৃন্দ আমাদের বইপত্র ও বিভিন্ন তথ্য আদানপ্রদান করে দারুণভাবে সাহায্য করেছেন। জাতীয় গ্রন্থাগার (আলিপুর, কোলকাতা) থেকে প্রাপ্ত অসংখ্য গ্রন্থ ও তথ্য এই গ্রন্থটি রচনা করতে গিয়ে প্রভূত উপকৃত হয়েছি। আমরা কৃতজ্ঞ ওই সমস্ত গ্রন্থাগারের দায়িত্বপ্রাপ্তদের প্রতি। আমরা কৃতজ্ঞ সেই সমস্ত শুভাকাক্সক্ষীদের প্রতি যারা প্রতিমুহূর্তে আমদের সঙ্গে থেকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছেন। সবশেষে আমাদের এই গ্রন্থটি সুধীজন, জ্ঞানীগুণী, গবেষক ও ছাত্রছাত্রী সর্বোপরি অধ্যাপক-অধ্যাপিকা কর্তৃক আলোচনা- সমালোচনার মাধ্যমে সমাদৃত হলে সার্থক হবে আমাদের সমস্ত প্রচেষ্টা। সেখ গোলাম মাসুম কামারান এম কে ম-ল কলকাতা