ফ্ল্যাপে লিখা কথা বরেণ্য এবং কৃতবিদ্যা সাহিত্যসাধকদের উপলব্ধিজাত সত্যের কথকতা এবং বিশ্বসাহিত্যের মনিকাঞ্চন ছড়িয়ে রয়েছে মনীষীদের রচনাসমগ্রে। অজানা, অপ্রকাশিত এবং কৌতূহলপদ এসব কাহিনী জনসমক্ষে বেরিয়ে আসে তাঁদের সাক্ষাৎকার ও জীবনী থাকে। এ-গ্রন্থ তেমনি মনীষী ও মহাজনদের কথকতায় ঋদ্ধ। পাঠকসমাজের জন্য এগুলো তুলে আনা হয়েছে বিশ্বমানের বিভিন্ন তথ্যউৎস থেকে।
প্রত্যেকটি সাক্ষাৎকারে সংশ্লিষ্ট লেখক-কবি-ঔপন্যাসিক তাঁর কালকে বর্ণনা করেন। সমাজকে টেনে আনেন প্রসঙ্গ হিসেবে। সামাজিক অনাচার ও আচার এসে যায় নানাভাবে। প্রিয় ব্যক্তিত্বের যেমন উদ্ধৃতি আনা হয়, অকপটে বলা হয় অপছন্দের কথা। এমনকি বরেণ্যদের ভুলত্রুটির কথাও কারও কথায় উঠে আসে। মনে হয়, কেউই সমালোচনার উর্ধ্বে নয়, বিশেষত শিল্পসাহিত্যের ধারায় যদি আলোচনা-সমালোচনা স্থান না পায়, সমাজ কীভাবে এগোবে তার অভীষ্টে?
ফ্রাঁসোয়া মরিয়াক, ই.এম. ফরস্টার, ফয়েস ক্যারি, অক্টাভিও পাজ, টনি মরিসন, কেনযাবুরো ওয়ে, ভি. এস. নাইপল, ইমরি কার্তিয, জন ম্যাক্সওয়েল কোয়েতজী, এলফ্রিয়েদ এলিনেক, হ্যারল্ড পিন্টার, ওরহান পামুক, আলবার্তো মোরাভিয়া, ডোরোথী পার্কার, জেমস থারবার, গিওর্গি ফ্যালুদি, চিনুয়া অ্যাচেরে এঁদের সবাই নিজ নিজ সমাজ ও সংস্কৃতির বটবৃক্ষতুল্য। এঁদের জীবনী ও সাক্ষাৎকার, বিশেষ করে শিল্পসাহিত্য এবং লেখাপড়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে অবশ্যপাঠ্য হওয়া উচিত।