ফ্ল্যাপে লিখা কথা দেশে উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহ ক্রমশ বাড়ছে। সাম্প্রতিককালে উচ্চশিক্ষার সুযোগ বেড়েছে একথা সত্য কিন্তু এ সম্প্রসারণের পাশাপাশি গুনগতশিক্ষার বিষয়টি কতটুকু প্রাধান্য পেয়েছে তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেশনজট, ‘৭৩-এর স্বায়ত্বশাসন ও এর ব্যবহারিক দুর্বলতা, নানান রঙ-এ বিভক্ত শিক্ষক-রাজনীতি, শিক্ষক-নিয়োগে স্বচ্ছতার অভাব, ক্যাম্পাস-সহিংসতা, অপ্রতুল বাজেট বরাদ্দ ইত্যাদির সাথে প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে আরো নানান ঘটনা।
সময়ের প্রয়োজনেই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, কিন্তু এসকল অনেক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রয়েছে অভিযোগ। কলেজগুলো উচ্চশিক্ষার পরিবেশ, শিক্ষা ও গবেষণার মান নিয়েতো প্রশ্ন রয়েছেই। অপরদিকে দীর্ঘদিন পর মাদ্রাসার ফাজেল ও কামেল পেয়েছে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রির স্বীকৃতি। কওমি মাদ্রাসার দাওরা সনদকেও দেয়া হয়েছে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির মান।
এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা সাম্প্রতিক বাস্তবতা শীর্ষক গ্রন্থে দেশের উচ্চশিক্ষার কাঠামোগত বিন্যাস, সাম্প্রতিক সংস্কার ও সংস্কার-প্রচেষ্টা, শিক্ষা ও গবেষণার মান ইত্যাদি বিষয়সমূহ আলোচনায় এসেছে।
দেশের উপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়নে এ পর্যন্ত অনেক কমিশন কাজ করেছে। সর্বশেষ ড. মনিরুজ্জামান মিঞার নেতৃত্বে গঠিত কমিশনের সুপারিশের আলোকে লেখক- গবেষক মুহম্মদ আবু নাছের টিপু গ্রন্থটিতে বিশ্লেষণাত্মক ও তুলনামূলক এক মনোজ্ঞ আলোচনা উপস্থাপন করেছেন।
বিরাজমান বাস্তবতায় দেশেল উচ্চ শিক্ষাস্তরের নানান ধারা-উপধারার বিরাজমান বৈষম্য, সমন্বয়, সমস্যা ও সম্ভাবনাকে ঘিরে লেখা গ্রন্থটি আগ্রহী পাঠকের ভাবনাকে নতুন করে নাড়া দিবে।
আবু নাছের টিপু বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস তথ্য ক্যাডারের ২০তম ব্যাচের কর্মকর্তা। শিক্ষা ও সমসাময়িক উন্নয়ন এবং গভর্নেন্স ইস্যুতে লিখছেন নিয়মিত। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখি, পেয়েছেন জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার। জন্ম ১৯৭৩ সালে, নােয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার মইজদীপুর গ্রামে। পড়াশুনা করেছেন অর্থনীতিতে। নরওয়ে সরকারের বৃত্তি নিয়ে পাবলিক পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্স বিষয়ে এবং জাপানের গ্রিফস থেকে বিশ্বব্যাংক ও মাল্টিডােনার ট্রাস্ট ফান্ডের বৃত্তি নিয়ে ম্যাক্রোইকোনােমিক পলিসি বিষয়ে এমএস করেছেন। কাজ করছেন সড়ক, পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা পদে। এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব পদে দায়িত্ব পালন করেন। মাঠ পর্যায়ে বান্দরবান, পার্বত্য জেলা ও চট্টগ্রাম ছাড়াও কাজ করেছেন শিক্ষা এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা পদে।