ফ্ল্যাপে লিখা কথা বর্তমানে দেশে অনুমোদিত ৫১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যারয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছে প্রায় দেড় লাখ শিক্ষার্থী। এসব প্রতিষ্ঠানের ক্রমবর্ধমান বিকাশ কতটুকু যৌক্তিক, এটা সম্প্রসারণ না বিস্ফোরণ-এ নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। কিছু প্রতিষ্ঠান মান অক্ষুন্ন রেখে উৎকর্ষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, আবার কিছু প্রতিষ্ঠান শিক্ষার নামে চালাচ্ছে সনদ বিক্রির প্রহরসন।
সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান এক নয়। মানব সম্পদ উন্নয়নে কোনো-কোনো প্রতিষ্ঠান রাখছে ইতিবাচক অবদান। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিদেশী শিক্ষার্থী নি দিন বাড়ছে, কমছে বিদেশগমন প্রবণতা। কিছু প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক অর্জন ইতোমধ্যে দেশেল গৌরবও বাড়িয়েছে। নেই কোন সেশনজট, ছাত্র-রাজনীতি, অনির্ধারিত বন্ধ। যথাসময়ে কোর্স শেষ করে জব-মার্কেটে ছড়িয়ে পড়ছে গ্র্যাজুয়েটরা। এ-বাস্তবতায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিকাশ; এর যৌক্তিকতা এবং মানগত ব্যবস্থাপনার মতো সমসাময়িক বিষয়াদি উঠে এসেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সাম্প্রতিক প্রবণতা গ্রন্থটিতে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিয়ে যেমননি ঝড় উঠেছে পত্রিকার পাতায় তেমনি সরকারও নিয়েছে নানান উদ্যোগ। আবার এ-নিয়ে উদ্যোক্তাদের মত-বিরোধও রয়েছে। একজন শিক্ষার্থী কিংবা অভিভাবক হিসেবে একটি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে যে সকল তথ্য জানা প্রয়োজন লেখক তা উপস্থাপন করেছেন নিপুর দক্ষতায়। এতে আপনি পাবেন অনেক প্রশ্নের জবাব।
আবু নাছের টিপু বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস তথ্য ক্যাডারের ২০তম ব্যাচের কর্মকর্তা। শিক্ষা ও সমসাময়িক উন্নয়ন এবং গভর্নেন্স ইস্যুতে লিখছেন নিয়মিত। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখি, পেয়েছেন জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার। জন্ম ১৯৭৩ সালে, নােয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার মইজদীপুর গ্রামে। পড়াশুনা করেছেন অর্থনীতিতে। নরওয়ে সরকারের বৃত্তি নিয়ে পাবলিক পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্স বিষয়ে এবং জাপানের গ্রিফস থেকে বিশ্বব্যাংক ও মাল্টিডােনার ট্রাস্ট ফান্ডের বৃত্তি নিয়ে ম্যাক্রোইকোনােমিক পলিসি বিষয়ে এমএস করেছেন। কাজ করছেন সড়ক, পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা পদে। এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব পদে দায়িত্ব পালন করেন। মাঠ পর্যায়ে বান্দরবান, পার্বত্য জেলা ও চট্টগ্রাম ছাড়াও কাজ করেছেন শিক্ষা এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা পদে।