ঈশ^রচন্দ্র বিদ্যাসাগর (১৮২০-১৮৯১) বাঙালির কাছে এক প্রাতঃ¯ §রণীয় মানুষ। কেবল পা-িত্য নয়, সমাজহিতৈষণার জন্য তিনি বিখ্যাত। মানবদরদি, শিক্ষাদরদি, সমাজদরদি এই মনীষীকে নিয়ে চর্চা ও মূল্যায়নের সারিতে যুক্ত হলো এই গ্রন্থ। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উপলক্ষে বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্রে রেখে রচিত নিবন্ধগুলো একত্রে প্রকাশিত হলো। বিদ্যাসাগরকে নিয়ে অনেক অজানা কাহিনি, বিদ্যাসাগরের রসবোধ, জিদ, প্রতিশোধ, কান্না প্রভৃতি নানান বিষয় উঠে এসেছে এই গ্রন্থে। বর্ধমান, হুগলী, চন্দননগর কিংবা বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যাসাগরের সম্পর্ক আবিষ্কারের চেষ্টাও রয়েছে। লেখক কেবল জনশ্রুতির ওপর নির্ভর করে এই গ্রন্থ রচনায় অগ্রসর হননি, প্রাপ্ত তথ্য যাচাই করেছেন, নিজের মূল্যায়ন যুক্ত করেছেন, তারপর পরিবেশনে উদ্যোগী হয়েছেন। অনেক জানা তথ্যকে তিনি নতুনভাবে তুলে ধরেছেন। সাধারণ মানুষের আগ্রহের বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে এই গ্রন্থে পরিকল্পিত হয়েছে। বিদ্যাসাগারকে সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিতি করে তুলতে এই গ্রন্থ যথেষ্ট সহায়ক। ভক্তের অবস্থানে থেকে তিনি ব্যক্তি বিদ্যাসাগরের পরিচয় তুলে ধরেছেন। বিদ্যাসাগর সম্পর্কে তৎকালীন এবং সমকালীন লেখক-গবেষকদের অভিমতকেও গ্রহণ করেছেন পরম গুরুত্বের সঙ্গে। বিদ্যাসাগরচর্চার খাতিয়ানও পাওয়া যাবে একাধিক নিবন্ধে। জন্মের দুইশত বছরকে সামনে রেখে বিদ্যাসাগরের পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ রয়েছে এই গ্রন্থে। বিদ্যাসাগরচর্চায় এই উদ্যোগ পাঠকের কাছে নতুন উপলব্ধি সঞ্চার করবে।