হেমন্ত হাসান লেখালেখি করেন বেশ কিছু দিন ধরে, কিন্তু বই প্রকাশ করেছেন কম। ‘আলপিন’-এ তার লেখা ছাপা হয়েছে অনেক। সাধারণত ভালো লেখা ছাপানোর চেষ্টা করতাম আলপিনে। আর ভালো যারা লেখেন, তারা ভালো লেখক। হেমন্ত হাসানও ভালো লেখক। এই কথাটি কেবল বলার জন্য বলা না, ওই যে বললাম-তার লেখা ছেপেছি আমি, এবং তা পড়েই ছেপেছি। তার লেখার ভেতর রস বোধ প্রখর, বিদ্রুপও আছে। আর আছে উথলে ওঠা আবেগ। ২০২১-এর বইমেলাতে তার কিশোর উপন্যাস বন্ধু বাহাদুর এসেছে অক্ষরবৃত্ত প্রকাশনী থেকে। তার এই উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি অক্ষরবৃত্ত প্রকাশনীর সেরা পাণ্ডুলিপি প্রতিযোগিতায় সেরা পাণ্ডুলিপি নির্বাচিত হয়েছে। একজন প্রকাশক সাধারণত ভালো লেখা ছাপানোর চেষ্টা করেন এবং এটা যেহেতু সেরা পাণ্ডুলিপিতে স্থান পেয়েছে, নিঃসন্দেহে তাই ভালো লেখা এটা। উপন্যাসের প্রধান চরিত্র অরুণ আর তাদের বাসার গেটের সামনে পাওয়া একটা কুকুরছানা নিয়ে পুরো উপন্যাসটি। লেখার গতিশীলতার সঙ্গে কাহিনীর বাঁক রয়েছে পর্বে পর্বে। এবং শেষ পর্যন্ত চমক। সত্যিকারের উপন্যাসের আদল। সব শ্রেণির পাঠকদের ভালো লাগার এক আবেশ তৈরি হবে। আমি মাঝে মাঝেই বলি--- লেখক অনেকেই হতে চান। তবে ‘বইয়ের লেখক’ হতে গেলে তাকে লিখতে হবে, পড়তে হবে, সবার প্রতিক্রিয়া জানতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা নিজের লেখাই বারবার পড়তে হবে। কে না জানে---নিজের দূর্বলতা নিজেকেই আগে জানতে হয় এবং সেটা দূর করতে হয়, অন্য কেউ তা বুঝে ওঠার আগেই। হেমন্ত হাসান অবিরত লিখে সেই দূর্বলতা দূর করেছেন অনেকখানি। ‘প্রতিটি ভোরই আসে সবাইকে আলোকিত করতে’, হেমন্তের প্রথম এই কিশোর উপন্যাসটিও আমাদের পাঠকদের মন আলোয় ভরিয়ে দেবে। প্রত্যাশা এটা, বিশ্বাসও। সুমন্ত আসলাম
ঝিনাই নদীর সন্তান হেমন্ত হাসানের জন্ম ২৬ মার্চ। পৈত্রিক নিবাস টাঙ্গাইলের গোপালপুরে। শিক্ষাজীবনে তিনি হিসাববিজ্ঞানে স্নাকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। পেশাগত জীবনে কাজ করেছেন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক-এ। বর্তমানে তিনি একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। গাছ লাগাতে ভালোবাসেন। বড়শিতে মাছ ধরতে সবচেয়ে বেশি আনন্দ খুঁজে পান। এক জীবনে বৃষ্টির থেকে প্রিয় হয়ে উঠেনি আর কোনকিছুই। তার প্রথম কিশোর উপন্যাস বন্ধু বাহাদুর অক্ষরবৃত্ত প্রকাশন কর্তৃক আয়োজিত প্রতিযোগিতায় সেরা পান্ডুলিপি ২০২০ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। তার গল্প স্থান পেয়েছে আলাপের আয়না ও ভয় অমনিবাস নামক দুটি গল্প সংকলনে। এছাড়া নিয়মিত তার লেখা গল্প বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়া এবং অনলাইন মাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে চলেছে। মৃত্যর আগে তার গল্পগুলো তিনি বলে যেতে চান পাঠকদের।