“লাভ শেডিং” (Love Shedding) এটা কোন আভিধানিক শব্দ না, সময়ের সাথে সাথে অনেক নতুন নতুন শব্দের সৃষ্টি হয়। যেমন বিদ্যুৎ আবিষ্কারের পূর্বে লোড শেডিং নামক কোন শব্দের সাথে আমরা পরিচিত ছিলাম না। লাভ শেডিং শব্দটা আমাদের কাছে নতুন এবং হয়তো এর আগে কোথাও প্রয়োগ হয় নি। লোড শেডিং শব্দটা প্রায়োগিক ও বৈজ্ঞানিক এবং লাভ শেডিং আপেক্ষিক ও আবেগিক। “লাভ শেডিং” এর বাংলা আভিধানিক অর্থ দাঁড়ায় “ভালোবাসা বিভ্রাট” এবং রুপক অর্থে বুঝায় ভালোবাসার অন্ধকার (The Darkness of Love). সম্প্রতি আমরা লক্ষ্য করছি যে- আবেগ, ভালোবাসা, প্রেম, প্রণয় এবং বিনয় এই সকল সুন্দরতম মানবীয় গুণাবলীগুলো স্বার্থের কারণে একজন মানুষের ভেতর বিদ্যুতের মত আসা যাওয়া করছে, একে অন্যকে ছেড়ে যাচ্ছে, গোপনে অথবা প্রকাশ্যে একাধিক সম্পর্ক বজায় রেখে চলছে, কি বিবাহিত, কি অবিবাহিত, তারা একজনে নয় তুষ্ট। এরা বহুজনে, বহুপ্রেমে এবং বহুগামিতার দোষে দুষ্ট। প্রেম-ভালোবাসার আবরণের মোড়কে প্রেমের ফাঁদে ফেলছে, প্রেম-ভালোবাসার আবেগ নিয়ে খেলছে আসলে ওটা প্রেম নয়। দিন শেষে তারই অজান্তে তার প্রকৃত রূপে সে নিজেকে আবির্ভুত করছে। এখানে ভালো লাগার বিষয়টি খুবই ক্ষণস্থায়ী এবং ভালোবাসা লাভ-ক্ষতির হিসাব করে, বিদ্যুতের মত আসা যাওয়া করে।
ইব্রাহীম ভূঁইয়া ৭ ডিসেম্বর ১৯৮১ সালে টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার গ্রামের সম্ভ্রান্ত এক মধ্যবিত্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। পিতা মৃত- ডাঃ আবু তাহের ভূঁইয়া, মাতা মৃত- আনোয়ারা বেগম। তিনি ১৯৯৭ সালে সৈয়দ আব্দুল জব্বার সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ১৯৯৯ সালে সৈয়দ মহব্বত আলী ডিগ্রী কলেজ থেকে এইসএসসি পাশ করেন। তার শৈসব ও কৈশর দেলদুয়ারেই কেটেছে। তারপর তিনি ঢাকা সিটি কলেজ থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। পেশায় তিনি একজন কম্পিউটার প্রকৌশলী। তিনি সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বিগ ও সলিউশন লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। অনেক ছোটবেলা থেকেই বই পড়া এবং লেখালেখির প্রতি তার বিশেষ ঝোক, এবং অনেক সামজিক কাজের সাথে সে জড়িত। সম্মান চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত অবস্থায় তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘চোর’ প্রকাশিত হয়- ২০০৬ সালে। তারপর বেশ কয়েক বছর বিরতি দিয়ে ২০১১ প্রকাশিত হয় ২য় কাব্যগ্রন্থ ‘মেঘরাঙা প্রজাপতি’ তারপর আবারও বিরতি দিয়ে ২০২০ সালে প্রকাশিত তার তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘মধ্যবিত্ত’ । এরপর তার প্রথম উপন্যাস ‘লাভ শেডিং’ প্রকাশিত হয়েছে এবারের একুশে গ্রন্থমেলা ২০২১ এ। এছাড়াও অনেক সংকলন গ্রন্থে তার অনেক লেখা প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বঙ্গবন্ধু লেখক পরিষদের তথ্য পযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং অনুপ্রাস জাতীয় কবি সংগঠনের ঢাকা মহানগর পূর্বাঞ্চল শাখার সভাপতি। তিনি এক্স রোটার্যক্টর ও রোটার্যাক্ট ক্লাব অব ঢাকা বুড়িগঙ্গার সাবেক সভাপতি। বর্তমানে তিনি রোটারিয়ান এবং রোটারী ক্লাব অব গুলশান টাইগার্স এর সদস্য। তিনি গুলশান সাউথপার্ক ক্লাব লিমিটেড এর জীবন সদস্য। তিনি সম্মাননা পেয়েছেন- ২০০৬ সালে সামাজিক সংগঠন ‘উদীয়মান বাংলাদেশ’ এর পদক। বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা কামাল স্মৃতি পদক-২০১৫। মানবাধিকার শান্তি পদক-২০১৭ এবং অনুপ্রাস জাতীয় কবি সংগঠন পদক-২০১৭ পেয়েছেন।