ল্যাপে লিখা কথা লক্ষ শহীদের রক্ত আর অগণিত মা বোনের সম্ভ্রম ও আতমবলিদানের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেম তিন যুগ অতিক্রম করেছে। যে স্বপ্ন বুকে ধারন করে আমরা দেশকে স্বাধীন করেছি তা অনেক ক্ষেত্রে পূর্ণতা পায়নি। রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল থেকে দেশেল সামাজিক ও আর্থিক অবস্থান দৃঢ় ভিত্তির উপর সু্প্রতিষ্ঠিত থাকবে এই কাম্য। বাস্তব পরিকল্পনার অভাবে বেকারত্বের মাত্রা বেড়েই চলেছে। সরলপ্রাণ যুবকেরা ভাঘ্য পরিবর্তনের আশায় সোনার হরিণের পিছে দৌঁড়াতে ব্যস্ত। দেশ যাতে মেধাহীন না হয়ে পড়ে তার পরিত্রাণ প্রয়োজন।
আমাদের দেশের সন্তানেরা কিভাবে বিদেশে অবহেলিত এবং অমানবিক জীবন কাটাচ্ছে তা বিভিন্ন মিডিয়ার সৌজন্য প্রতিনিয়তই জানা যায়। পিতা মাতার মতো বয়স্ক নারী পুরুষ আর সম্ভাবনাময় বন্ধু বান্ধব সামাজিক, পারিবারিক ও ব্যক্তিগত জীবনকে বিসর্জন দিয়ে শুধু অর্থ উপার্জনের জন্য দৌড়ে চলেছে। কিছু ভার দিক হয়তো রয়েছে, কিন্তু তাতে একটি প্রজন্ম অনিশ্চয়তার দিকে ধাবিত হচ্ছে অনস্বীকার্য।
‘আমেরিকায় দিনগুলি’ যদি কারো অনুভূতিতে সামান্যতম দোলা দিতে পারে এবং বিদেশ বিমুখ হয়ে নিজ দেশে থেকে বাঁচার স্বপ্ন দেখাতে সক্ষম হয়, তাতেই আমার সার্থকতা। বিদেশী ঠাকুর থেকে দেশী কুকুর উত্তম- এটাই আমার একান্ত বিশ্বাস।