ফ্ল্যাপে লিখা কথা স্যামুয়েল পি. হান্টিংটন-এর দ্য ক্ল্যাশ অব সিভিলাইজেশনস্ অ্যান্ড দ্য রিমেকিং অব ওয়ার্ল্ড অর্ডার; বর্তমান এবং পরবর্তী শতাব্দীর বিশ্বরাজনীতির চালিকাশক্তিসমূহের পরিজ্ঞানসম্পন্ন বলিষ্ঠ বিশ্লেষণ: Foreign Affairs- জার্নালের ১৯৯৩ সালের গ্রীষ্ম সংখ্যায় স্যামুয়েল পি. হান্টিংটন-এর The Clash of Civilizations? “ শীর্ষক একটি প্রবন্ধ মুদ্রিত হয়। এই বিশিষ্ট জর্নালের সম্পাদকগণের মতে, ১৯৪০-এর দশকের ‘রাষ্ট্রের প্রভাব বলয়ে বাধাদান সম্পর্কিত’ জর্জ কিনানের বিগত লেখার (X) পরে অদ্যাবধি হ্যান্টিংটন-এর লেখাটির মতো আর কোনো লেখা নিয়ে এত আলোচনার ঝড় ওঠেনি। এই পুস্তকে হান্টিংটন তাঁর উক্ত লেকা এবং লেখাটির সমালোচনা ও এ-সম্পর্কে উত্থাপিত বিভিন্ন আলোচনা ও ইস্যুসমূহের বিস্তারিত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণসহ আরও অনেক কিছু নতুন বিষয় যুক্ত করে তাঁর ধারণাকে সুতীক্ষ্ণ করতে সচেষ্ট হয়েছেন। উল্লিখিত প্রবন্ধে হ্যান্টিংটন প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলেন যে, সভ্যতাসমূহের মধ্যে সংঘাত ভবিষ্যৎ বিশ্বরাজনীতিতে প্রভাবশালী হয়ে বহাল থাকবে কি-না। এই পুস্তকে তিনি সে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন, সেসঙ্গে তিনি দেখিয়েছেন সভ্যতাসমূহের মধ্যে চলমান সংঘাত বিশ্বশান্তির প্রশ্নে সবচেয়ে বড় হুমকি; তবে সেইসঙ্গে তিনি আরও দেখিয়েছেন আন্তর্জাতিক ধারা ও বিধিবিধান সম্বলিত সভ্যতা কীভাবে যুদ্ধভীত বিশ্বের জন্য বড় রক্ষাকবচ হিসেবে প্রতীয়মান হতে পারে। বর্তমান গ্রন্থে উল্লিখিত বিষয়সমূহের প্রতি যথাযথ দৃষ্টিপাত করা হয়েছে।
Title
দ্য ক্ল্যাশ অব সিভিলাইজেশনস অ্যান্ড দ্য রিমেকিং অব ওয়াল্ড অর্ডার
হান্টিংটন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রসিদ্ধ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। তিনি নব্বইয়ের দশকে 'সভ্যতার সংঘাত' (clash of civilizations) নামক তত্ত্বের জন্ম দেন, যেটি পরবর্তী সময়ে ৯/১১-র হামলার পর তাঁকে ব্যাপক পরিচিতি এনে দেয়।