আর্মস্ট্রাডাম অপরূপ সৌন্দর্য বহন করে। শহরের ভিতর এঁকেবেঁকে চলে গেছে নদী। পুরো নদীর উপর শহরটি। তাই পৃথিবীর সকল দেশের পর্যটকদের আকর্ষণ এই আর্মর্স্টাডাম। অবশ্য পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য আরও আছে যৌনপল্লী, টিউলিপ বাগান আর তরুণ-তরুণীদের স্বর্গ এই আর্মস্ট্রাডাম। অফিস থেকে বের হলাম। ঝকঝকে নীল আকাশ। মাথার উপর দিয়ে একঝাক পাখি ডানা মেলে উড়ে গেলো। মনটা হাহাকার করে উঠলো। হায় পাখি! বুক থেকে দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসলো। সামারের ইউরোপের রূপ অনন্যা রুপসী। চারদিকে সবুজময়। গাছে গাছে রংধনুর রং লেগেছে। আহ কি সুন্দর ফুলগুলো। মনে হয় সব ছবির মত সাজানো। মাঝে মাঝে ধাঁধা লাগে চোখে। গাছ- ফুলগুলো কি সত্যি না-কি কৃত্রিম! তীব্র গরমে শীতল বিয়ারে চুমুক দেয়ার মজা কোন রমণীর লাল ঠোঁটেতে চুমুর থেকে বেশি শান্তির, বেশি আনন্দদায়ক। কিন্তু কোথাও বসার তিল পরিমাণ জায়গা নেই। আরিফ ভাবলো, ইস্ আইনটাক ফ্রাঙ্কফুর্ট হেরে গেছে তাতেই এই অবস্থা, আর জিতলে না যেন কী হতো! মন খারাপ করে আরিফ বাসার দিকে ছুঁটলো। দুই পাশে সবুজ ভূমি। তার মাঝখান দিয়ে চলে যাওয়া হাইওয়ে ধরে ছুটছে ওদের গাড়ি। বিকালের চমৎকার রৌদ্র আলোতে প্রকৃতিকে করছে অপরূপ। মনে হয় সবাই সোনালী রোদ মেখে কোন উৎসবে যাচ্ছে। কোন জমি গারো সবুজ কোন ভূমিতে শুধু মাটি আবার কোন ভূমি সবুজ। হঠাৎ একটা পঁচা গন্ধ রথীনের নাকে বাড়ি খেলো।
আমাদের শিশিরার্ল মামুন। মামুন নামেই তাকে ডাকি আমরা। প্রচণ্ড আড্ডাবাজ। বন্ধুবান্ধবের সাথে হৈ হল্লে সারাক্ষণ। আবার কাজের সময় হলে ভাে দৌড়। আমরা বন্ধুরা বলি, এত এনার্জি পাস কোথায়? কেউ বিপদে পড়েছে আর মামুন তার পাশে নেই ভাবা যায় না। তখন মনে হয় ও আমাদের ইউরােপের হিমু হা হা। এখানে, মানে জার্মানিতেই পড়ালেখা শেষ করে এখানেই চাকরি করছে। বই খেকো পাগলটা। বই, পড়তে ভালােবাসে, আর ছুটি পেলেই বেরিয়ে পড়ে ইউরােপের এমাথা থেকে ওমাথা।