হামিদ মিয়া ও রোকেয়া অন্যান্যদের সাথে বসতে গেলে একজন এসে তাদেরকে বসতে বাধা দিয়ে বলে আবির স্যার ও রিয়া ম্যাডাম আপনাদেরকে না বসে এখনই চলে যেতে বলেছেন। হামিদ মিয়া ভেবেছিল খাওয়ার পর সে এবং রোকেয়া আবির ও রিয়ার সাথে দেখা করবে। কিন্তু খেতে বাধা পেয়ে তারা আশ্চর্য হয়ে যায়। হতবাক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। এ সময় কয়েকজন অতিথি দাঁড়িয়ে না থেকে তাদেরকে বসার জন্য অনুরোধ করে বলেন, এই যে ভাই আপনারা দাঁড়িয়ে কেন? চেয়ার খালি আছে বসে পড়–ন। হামিদ মিয়া খালি চেয়ারের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘনিঃশ্বাস ছেড়ে ভাবে, ওই চেয়ারে বসার যোগ্যতা তার ও রোকেয়ার নেই। কারণ সে পুলিশের একজন সাধারণ কনস্টেবল আর রোকেয়া কনস্টেবলের স্ত্রী। নিজের ছোটো ভাইবোন যাদেরকে সে লেখাপড়া শিখিয়ে বড়ো অফিসার করেছে, যাদের লেখাপড়ার খরচ চালাতে গিয়ে তার পড়াশোনা হয়নি। আজ সেই ভাইবোন বড়ো ভাই হিসেবে তাকে অস্বীকার করে এখান থেকে চলে যেতে বলছে। কারণ আমন্ত্রিত অতিথিরা যদি জেনে যায় যে এএসপি আবির সাহেব এবং সহকারী কমিশনার রিয়া ম্যাডামের বড়ো ভাই পুলিশের একজন সাধারণ কনস্টেবল। তাহলে তাদের মানসম্মান, সামাজিক মর্যাদা এবং আভিজাত্য ধুলোয় মিশে যাবে। তাছাড়া অনুষ্ঠানের অমর্যাদাও হবে। একজন কনস্টেবল একই টেবিলে সম্মানীয় এবং উচ্চপদ মর্যাদাসম্পন্ন অতিথিদের সাথে বসে খেতে পারে না। বিষয়টি জানাজানি হলে তারা মনঃক্ষুণœœ হতে পারেন। এতে তাদের ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
ড. মির্জা গোলাম সারোয়ার পিপিএম দিনাজপুর জেলার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দিনাজপুর ও পাবনা জেলা স্কুল, পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে যথাক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞানে সন্মানসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি দৈনিক সমকাল, দৈনিক বাংলা, দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন, দৈনিক চট্টগ্রাম, দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার, শীর্ষ অর্থনীতি সহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় কলাম, প্রবন্ধ, ছোটগল্প, কবিতা, ছড়া, ফিচার ইত্যাদি লিখে থাকেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি পারিবারিক পত্রিকা মাসিক ফুলকুঁড়ির নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২৩ টি সাহিত্য সংগঠনের সাথে জড়িত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশন, চুয়াডাঙ্গার শিশুদের জন্য ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যান সমিতির।আজীবন সদস্য। তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৭০ টি। তিনি শতবর্ষে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু সাহিত্য পুরস্কার,মাদার তেরেসা, ইউনেস্কো,পদক সহ এ পর্যন্ত ৭৫ টি সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন। বাংলা সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যান সমিতির পক্ষ থেকে তাঁকে সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়। পুলিশে হিসেবে চাকুরি করাকালীন তিনি রাষ্ট্রপতি ও জাতিসংঘ পদক প্রাপ্ত হন। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালনের জন্য নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলা পরিষদ কর্তৃক তাঁকে স্বর্ণপদক এবং র্যাবে চাকুরি করাকালীন সেরা কোম্পানি কমান্ডার হিসেবে আইজিপি পদক প্রদান করা হয়।