"ন কালমতিবর্তন্তে মহান্তঃ স্বেষু কর্মসু।”- মহান মানুষরা কখনোই তাদের কর্তব্য পালনে দেরি করেন না। অনেকটা এই মতবাদে বিশ্বাসী হয়ে রাত ভোর হতেই রিনির ব্যস্ততা শুরু হয়। বাসার অদূরে মসজিদের মাইকে ফজরের আজানের শব্দেই ঘুম ভাঙে রিনির। খাটের মধ্যে কিছুক্ষণ গড়াগড়ি দিয়ে আড়মোড়া ভাঙে। বিছানায় বসেই সেরে নেয় হলাসন, ভুজঙ্গাসন, প্রাণায়ামসহ বিভিন্ন উদ্ভট নামে যোগ ব্যায়াম। ব্রাশ করে সোজা বাথরুমে। মেয়ের প্রত্যহের এই রুটিনের মধ্যে রিনির মা সুলক্ষণা দেবীও অনেকটা ছক কষে বিছানা ছেড়ে চোখ কচলাতে কচলাতে সবার জন্য চা বানায়। রিনি স্নান সেরে পূজো দেয় রোজকার নিয়মে। পূজো দিতে বেশ সময় নেয়। এক ঘণ্টা থেকে সোয়া ঘণ্টা; পূজো দেওয়ার সময় তাকে বিরক্ত করা বারণ। এই সময় তার সাথে নাকি ঈশ্বর স্বয়ং আলাপ করেন। কেউ টু শব্দটিও করতে পারে না। পূজো শেষে একটা মোমবাতি আর তিনচারটা ধূপশলা জ্বালিয়ে দেয়। সারা ঘর ধূপের ধোঁয়ায় ভর্তি হয়ে যায়। ধূপের গন্ধে নাকি ঘরের সব ক্ষতিকারক ভাইরাস মরে যায়। এর সায়েন্টেফিক ব্যাখ্যা রিনি বেশ কয়েকবার তার মা'কে বললেও অতশত মনে রাখতে না পারা সুলক্ষণা দেবীর মন প্রশান্তিতে ভরে যায় ধূপের সুগন্ধে।
গত শতকের আশিরদশকে চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার বিনাজুরী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকে সাহিত্যে প্রবল আগ্রহ থেকেই কবিতা এবং ছোট গল্প লেখার শুরু। ছাত্রজীবন হতে তাঁর লেখা কবিতা-গল্প বিভিন্ন সাময়িকিতে প্রকাশিত হয়েছে। সমসাময়িক বিষয় নিয়ে গল্প উপন্যাস এবং কবিতা লিখতে ভালবাসেন; কলম হাতে সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেন লেখক। বর্তমানে বাংলাদেশের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকে কর্মরত আছেন। প্রকাশিত বইঃ জীবন চিত্রের ছন্দমালা (কাব্যগ্রন্থ - ২০১৯), খোলা হাওয়া (উপন্যাস - ২০২০), শ্রাবণধারা(উপন্যাস - ২০২১), চতুর্দশী চাঁদ(গল্প-২০২১)