বইটির ভূমিকার কিছু কথাঃ শিশুরা ফুলের মতাে পবিত্র। তাদের নিস্পাপ মুখ, চরিত্র, আচরণ বয়ােবৃদ্ধির সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়। এই যে পরিবর্তন, সেটা যদি শাশ্বত সুন্দর হয় তবে তা যেন শিশুদের জন্য কল্যাণকর, তেমনি তা পিতা-মাতা, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্যও কল্যাণকর। শিশুমন নরম কাদামাটির ন্যায়। এ মাটিকে যেমন ইচ্ছা তেমন রূপ দেয়া যায়। সেই রূপ দেয়ার প্রক্রিয়াটি হতে হবে পরিশীলিত, গঠনমূলক। শিশুদের মধ্যে ধর্মীয় চিন্তা-চেতনার উন্মেষ ঘটানাে খুবই জরুরি বিষয়। ধর্মীয় রীতিনীতিতে বেড়ে ওঠা শিশু সবসময়ই বিনয়ী, ভদ্র ও মার্জিত হতে শেখে। এ জন্য তাদেরকে যথাযথ তালিম দিতে হবে। এমত উদ্দেশ্যেই আমার এ বইটি লেখা। বইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন আঙ্গিকে, বিভিন্ন উপমা দিয়ে উদাহরণ দিয়ে শিশুদের বােঝাবার প্রয়াস পেয়েছি। নিজের সন্তানকে উপজীব্য করেই বিভিন্ন বিষয়ের উপস্থাপনা করেছি। মানুষের বিশেষ করে আমরা মুসলমানদের সকল কাজ (খাওয়া, গােসল, শােওয়া, অন্যের সাথে আচরণ ইত্যাদি) যেন মহান রাব্বল আলামিনের হুকুমমতাে, নবীজী (স.) এর দেখানাে কায়দায় এবং সাহাবী (রা.) গণের অনুসরণের পথে হয় সেজন্য সেই ক্ষেত্রগুলােতে ভিন্ন ভিন্ন মাত্রায় প্রকাশ ঘটানাের চেষ্টা করেছি। এ বইটি পাঠের মধ্যদিয়ে এ দেশের বাবা-মা এবং শিশুরা উপকৃত হলে আমার শ্রম স্বার্থক হয়েছে বলে মনে করবাে। ‘গুপ্তধন’ বইটি প্রকাশ করায় আমি বিশ্বসাহিত্য ভবন এর কর্ণধার তােফাজ্জল হােসেনের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।