কাহলীল জিবরান জন্ম: ১৮৮৩ সাল, বিসাররী, লেবানন। পিতার নাম : খলীল জিবরান।
মা কামিলেহ ছিলেন ইস্তিফান রাহমে নামক একজন জাযকের কন্যা।
কৈশোরে মা, সৎভাই ও দু’বোনসহ আমেরিকা অভিবাসী হন। প্রথমে থিতু হন বষ্টনে এবং পরবর্তীকালে নিউইয়র্কে।
‘দ্য পফেট’ গ্রন্থের মাধ্যমে তিনি সারা পৃথিবীর কবিতা পাঠকের কাছে পরিচিত। প্রফেট প্রকাশিত হন ১৯২৩ সালে। তার কবিতার উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো ভৌগোলিক বিচরণের ক্ষেত্রে সময়হীনতা এবং মরমী দার্শনিকের এক অবাস্তব জগত।
জিবরান তার বহু রচনায় বিভিন্ন ধারণা ব্যাখ্যা করতে ছোট ছোট বর্ণনামূলক আখ্যান ব্যবহার করেছেন। কিন্তু এসব ছিল মূলত নীতিকথামূলক আখ্যানের প্রতিষ্থাপন। শিক্ষামূলক রচনা, প্রবচন, প্রতীকাশ্রয়ী কাহিনী ও শ্লেষসমৃদ্ধ গদ্য- কৌতুক এসবই হচ্ছে জিবরানের রচনার বৈশিষ্ট্যপূর্ণ দিক। তবে আরবি ও ইংরেজি উভয় রচনাতেই তার অদ্ভুত ষ্টাইল তার রচনাকে দিয়েছে মনোমুগ্ধকর চমৎকারিত্ব। জিবরান ভালবাসা সম্পর্কে এক জায়গায় বলেন, ভালবাসা ব্যাখ্যা করার জন্য কোন শব্দের দরকার হয় না, কারণ ভালবাসা হল একটা অচঞ্চল প্রার্থনা সংগীত, যা রাতের নীরবতার ভেতরে শোনা যায় এবং সেখানে ধোঁয়াশা ও সবকিছুর জন্য রয়েছে নির্যাস।
জিবরান ১৯৩১ সালের ১০ এপ্রিল, শুক্রবার নিউইয়র্কের সেন্ট ভিনসেন্ট হাসপাতালে মারা যান।
মােস্তফা মীর মূলত কবি। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে যারা প্রথম কবিতা লিখতে শুরু করেন এবং সত্তর দশকে বাংলা কবিতাকে যারা এদেশে জনপ্রিয় করে তােলেন মােস্তফা মীর তাদের অন্যতম। তাঁর জন্ম ১৯৫২ সালে, রাজবাড়ী জেলার বড়লক্ষীপুর গ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে তিনি মাষ্টার্স করেছেন ১৯৭৬ সালে। কর্মজীবনে একাধিকবার পেশা বদল করেছেন এবং একটি বেসরকারি সংস্থায় ১৮ বছর যুক্ত ছিলেন সম্পাদনা কর্মের সঙ্গে। আজন্ম উদাসীন ও প্রচার বিমুখ এই কবির কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা মাত্র পাঁচটি। পুরো আশির দশকে তিনি কোন লেখালিখিই করেননি। নব্বই দশকের শুরুতে এসে হঠাৎ করেই লেখেন উপন্যাস 'দানববংশ।' মৌলবাদীরা মামলা ঠুকলেও তা ধােপে টেকেনি। তবে গদ্যচর্চার এই ধারাবাহিকতায় লেখেন আরও তিনটি উপন্যাস, ‘ঈশ্বরের ঘ্রান’, ‘কুকুরকুঞ্জ’ এবং তােমাকে চাই'। নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময় থেকেই তিনি উপন্যাস রচনার পাশাপাশি অনুবাদ কর্মে হাত দেন এবং গদ্য ও পদ্য মিলে তাঁর অনুবাদ গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় ত্রিশ এর অধিক। বর্তমানে অনুবাদ কর্মই তার একমাত্র পেশা এবং তিনি উপন্যাস রচনায়ও মনােনিবেশ করেছেন । তবে প্রায় সময়ই তিনি অসুস্থ থাকেন। কারণ গত এগার বছর যাবৎ তিনি লিভারের অসুখে ভুগছেন। গত বছর প্রকাশিত হয়েছে তার গবেষণাধর্মী গ্রন্থ ‘মিশরীয় পুরাণ'। মােস্তফা মীরের সবচেয়ে আলােচিত গ্রন্থ হচ্ছে ‘আদম ইতিহাসের প্রথম চরিত্র।