”বারাশিয়ার রূপ” বইয়ের প্রথম ফ্ল্যাপ এর লেখা:
একদিন নবগঙ্গা তীরের হারিয়ে যাওয়া শ্রাবণের বর্ষা,। যুগের ব্যবধানে হঠাৎ ময়মনসিংহের মরা ব্রহ্মপুত্রের। পাড়ে পৌষের কুয়াশার চাদর ভেদ করে শরীর-মন ভিজিয়ে দিল। তাতে হারানাে সুরের বিকল্পে অবশ মনের গহিনে নতুন করে যেন বসন্তের হালকা সবুজ। রঙের কচি পাতা সতেজ হয়ে দুলতে লাগল। হলদে পাখির ডাকে, বসন্তের মাতাল বাতাসে, মরা নদীর চরে, সহসায় জোয়ার-জলের সিঞ্চনে সবকিছু তাজা হয়ে উঠল। কিন্তু বাস্তবতার নিষ্ঠুরতায় অকালের বর্ষাযুক্ত দূরবর্তী জোয়ারের জল সহসাই শুষ্ক মরুভূমিতে রূপান্তরিত হলাে। সেই সংকটকালে মরা। ব্রহ্মপুত্রকে গিরিকন্যা সাঙ্গু নকআউট করে দিল! । ‘বিষে বিষে বিষক্ষয়’-এর আকাঙ্ক্ষায় সাঙ্গুর দু-পাড় ঘেরা নীলগিরি-নীলাচলযুক্ত গহিন অরণ্যে ধ্যানরত পথিক বােধি প্রাপ্তির পূর্বেই তার বৈরাগ্যে জমা উষ্ণতা, তিস্তাপাড়ের নির্বাসিতার জমানাে লাভায় অধিগৃহীত হলাে! ' উপলব্ধি পালটালাে নির্বিঘ্নে নতুন ফসলের সতেজ। বেড়ে ওঠায়; পূর্বের রােপিত সবুজ চারাগুলাের কতক হলুদাভ হয়ে গেল । মাটির উর্বরতায় ও মূল শিকড়ের টানে চারাগুলাে টিকে গেল বটে কিন্তু হারিয়ে ফেলল অনেক কিছু। অদম্য প্রয়াসে অপেক্ষাকৃত শক্ত চারাগুলাে ঝড়ের কবলে পড়েও ঘুরে দাড়াল...।