মহান প্রতিপালকের নামে পড়ার তাগিদ দেওয়ার মাধ্যমে মহাগ্রন্থ আল কোরআন নাজিলের সূচনা। এ থেকেই জ্ঞানার্জনের গুরুত্ব অনুধাবন করা যায়। এই পৃথিবীতে মানুষ নামে মানুষ আছে শত, সভ্য মানুষ আছে ক’জন? প্রকৃত মানুুষ হতে হলে জ্ঞানের সাধনা করা আবশ্যক। এ বিশ্ব জগতে মহান আল্লাহর অসংখ্য নিদর্শন রয়েছে। এসব নিদর্শন সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে না। বুঝতে পারেন কেবল জ্ঞানী বান্দারা। মানুষ চলার পথে অনাকাঙ্ক্ষিত কিংবা অপ্রত্যাশিত কোনো দুর্ঘটনায় থমকে যায়। অনেকেই হতাশা-যন্ত্রনার তিমিরে হরহামেশাই তলিয়ে যায়। কেউবা সেই তিমির মাড়িয়ে আলোর পথ খুঁজে পায়। মানব জীবনে সেই আলোর পথটিই হলো ইলমে দীন বা ধর্মীয় জ্ঞান। এটি মনুষ্যত্ব বিকাশের একমাত্র মাধ্যম। ইলমে দীন ছাড়া মানবতার মুক্তির কোনো উপায় নেই। মানুষ ভুল পথে চলতে গিয়ে এতটাই বিপদগামী হয়ে ওঠে যে, সত্যকে অনুধাবন করার পরও তারা মহান প্রতিপালকের বাণীকে অগ্রাহ্য করে অথবা অস্বীকার করে। জীবনসায়াহ্নে এসেও তারা বলে না- দয়াময়, ক্ষমা করো। তারা তো এমন নির্বোধ, যারা স্বেচ্ছায়-সজ্ঞানে ফাঁসির দড়িতে ঝুলে পড়ে, কিংবা জ্বলন্ত অনলে ঝাঁপ দেয়, অথবা চলন্ত ট্রেনের সামনে নিজেকে দাঁড় করিয়ে দেয়। এই অর্থহীন জীবননাশে বীরত্বের কোনো মহিমা নেই।
ঐ জীবনই যথার্থ, যা যাপিত হয় স্রষ্টার আরাধনায় এবং জীবনদাতার প্রতি শোকর ও কৃতজ্ঞতায়। ঐ মৃত্যুই তো মহিমাপূর্ণ, যা হয় মহান প্রভুর পবিত্র সান্নিধ্যতায়।